বিলাসবহুল গাড়ির প্রতি ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের ভালোবাসা দীর্ঘদিনের। একের পর এক দামি গাড়ি কিনে বহুবার শিরোনামে এসেছেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। সম্প্রতি পোরশে ৯১১ জিটি৩ আরএস মডেলের একটি নতুন গাড়ি কিনে আবারও আলোচনায় নেইমার।
এই স্পোর্টস কারের দাম ২ লাখ ৪১ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি টাকা। ফর্মুলা ওয়ানে ব্যবহৃত প্রযুক্তির আদলে তৈরি এই গাড়ির গতি ও পারফরম্যান্স নজরকাড়া।
পোরশে ৯১১ জিটি৩ আরএস মডেলটি মাত্র ৩.২ সেকেন্ডে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ তুলতে সক্ষম। এর পেছনে রয়েছে ৫২৫ হর্সপাওয়ারের শক্তিশালী ইঞ্জিন। প্রস্তুতকারক কোম্পানির ভাষ্যমতে, গাড়িটিতে রয়েছে সক্রিয় অ্যারোডাইনামিকস প্রযুক্তি, যা গতি, স্থিতিশীলতা ও জ্বালানি দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক। একইসঙ্গে এটি উচ্চ ডাউনফোর্স ও হালকা, সুনির্দিষ্ট গঠনসমৃদ্ধ।
প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আরও জানিয়েছে, ‘৯১১ জিটি৩ আরএস একটি উচ্চ কার্যক্ষমতাসম্পন্ন স্পোর্টস কার, যা রেস ট্র্যাকে তার পূর্ণ সক্ষমতা দেখাতে পারে এবং একই সঙ্গে সাধারণ সড়কে চলারও উপযোগী।’
তবে এটিই নেইমারের গ্যারাজের একমাত্র চমক নয়। তার সংগ্রহে আছে আরও একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। এর মধ্যে রয়েছে—মার্সিডিস ক্লাস জি (দাম: ১ লাখ ৬৩ হাজার ডলার), বেন্টলি কন্টিনেন্টাল জিটি (৩ লাখ ডলার), লাম্বোরগিনি হুরাকান এসটিও (৩ লাখ ৪৯ হাজার ডলার), অ্যাস্টন মার্টিন ডিবিএক্স (২ লাখ ৫৬ হাজার ডলার) এবং রেঞ্জ রোভার ফার্স্ট এডিশন (১ লাখ ৬০ হাজার ডলার)।
তবে এই দামি গাড়িগুলোর বেশিরভাগই ব্রাজিলের রাস্তায় চালাতে পারেন না নেইমার। কারণ, ব্রাজিলে ব্যবহৃত গাড়ি আমদানির ওপর কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। দেশটির আইনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র যেসব গাড়ির বয়স ৩০ বছরের বেশি এবং সংগ্রহযোগ্য হিসেবে বিবেচিত, সেগুলোই আমদানি করা যায়। মূলত দেশীয় অটোমোটিভ শিল্পকে সুরক্ষা এবং অনাবশ্যক প্রতিযোগিতা প্রতিরোধ করতেই এই বিধিনিষেধ কার্যকর।
বিডি প্রতিদিন/আশিক