জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে ভালো শুরু করতে পারেননি বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। মাত্র ১ রানের ব্যবধানে দুজনেই একই বোলারের বলে আউট হন। ৩২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। তাদের জুটি মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ৫২ রানে পৌঁছায়। ফলে লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮৪ রান।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত। এ ম্যাচের মাধ্যমে দীর্ঘ বিরতির পর মুশফিকুর রহিম ফিরেছেন লাল বলের ক্রিকেটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তিনি ছিলেন না। এছাড়া জাকির হাসানের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন সাদমান ইসলাম।
প্রথম ইনিংসে শুরুটা ধীরগতির হলেও নির্ভরযোগ্য ছিল ওপেনারদের। জিম্বাবুয়ের দুই পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা প্রথম ৮ ওভারে তেমন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারেননি। এই সময় দলীয় সংগ্রহ ছিল ২৪ রান। তবে নবম ওভারে ভিক্টর নিয়াউচি আক্রমণে এসেই ভাঙন ধরান।
নিয়াউচির করা চতুর্থ বলে অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথে ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ দেন সাদমান ইসলাম। বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ১২ রান (১ চার)। পরের ওভারে আবারও নিয়াউচি ফিরে এসে গুড লেংথে ষষ্ঠ স্টাম্পের বল করে উইকেটের পেছনে জয়কে ক্যাচে পরিণত করেন। তিনি করেন ১৪ রান।
প্রথম ধাক্কা সামাল দিতে তখন দায়িত্ব পড়ে শান্ত ও মুমিনুল-এর কাঁধে। সাবলীল না হলেও ধীরে ধীরে তারা নিজেদের মানিয়ে নিতে থাকেন। যদিও একবার মুমিনুল হক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান—উইকেটকিপার বলটি তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন। এরপর নিয়াউচি ও মুজারাবানি বেশ কয়েকবার সুযোগ তৈরির চেষ্টা করলেও শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি মেরে চাপমুক্তির চেষ্টা করেছেন শান্ত। লাঞ্চে যাওয়ার আগে এই জুটি ৫২ রান যোগ করে অপরাজিত ছিলেন—শান্ত ৩০ রান ও মুমিনুল ২১ রান।
বিডি প্রতিদিন/আশিক