সিলেটে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। তবে বেশি দূর এগোতে পারেননি তারা। ৩১ থেকে ৩২ রানের মধ্যেই দুজনেই ফিরে যান সাজঘরে। সফরকারী পেসার ভিক্টর নিয়াউচির বলে দুজনেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন।
এর আগে প্রথম স্পেলে জিম্বাবুয়ের দুই পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা তেমন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারেননি। তাদের করা ৮ ওভারে আসে ২৪ রান। তবে নবম ওভারে আক্রমণে আসেন নিয়াউচি, আর তাতেই ঘটে বিপর্যয়। যদিও ওভারের প্রথম ৩ বলে এক নো বলসহ ৭ রান দিয়েছিলেন ডানহাতি এই পেসার।
চতুর্থ বলটিতে অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ বল ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন সাদমান। বাঁহাতি এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে এক চারে ১২ রান। এক ওভার বিরতির পর আবারও আক্রমণে এসে জয়কেও ফিরিয়ে দেন নিয়াউচি। তার গুড লেংথ ডেলিভারিতে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন জয়, যিনি করেছিলেন ১৪ রান।
শুরুতেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এখন ব্যাট হাতে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুমিনুল হক। যদিও মুমিনুল একবার জীবন পেয়েছেন। তার গ্লাভস ছুঁয়ে বল উইকেটরক্ষকের হাতে গেলেও তালুবন্দি করতে পারেননি তিনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৭ রান। শান্ত ১২ এবং মুমিনুল ৩ রানে ব্যাট করছেন।
এই ম্যাচ দিয়ে টেস্ট দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম ও অধিনায়ক শান্ত। তারা দুজনেই শেষ টেস্ট সিরিজে ছিলেন না। জাকির হাসানের জায়গায় একাদশে জায়গা পেয়েছেন সাদমান ইসলাম। বাংলাদেশ একাদশে রয়েছেন তিন পেসার।
বিডি প্রতিদিন/আশিক