দলবদল শেষ। এখন ক্লাবগুলোর মাঠে নামার পালা। তার আগে প্রস্তুতিতে তো নামতে হবে। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ খেলায় আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস আগেই অনুশীলনে নেমেছিল। গতকাল শুরু হলো পেশাদার লিগ চ্যাম্পিয়ন ঐতিহ্যব্যাহী মোহামেডান ক্লাবের। প্রথম দিন সকাল-বিকাল মিলিয়ে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম ও পল্টন ময়দানে অনুশীলন সেরেছে সাদো-কালোরা। সমর্থকরা ফুল ও মিষ্টি দিয়ে খেলোয়াড়দের বরণ করে নিয়েছে। হেড কোচ আলফাজ আহমেদ প্রথম দিন মাত্র ১৭ ফুটবলারকে পেয়েছেন। বাহরাইনে কন্ডিশনিং ক্যাম্পে আছেন পাঁচ ফুটবলার। ঢাকায় চলমান জাতীয় দলের ক্যাম্পে আছেন পাঁচ ফুটবলার। স্থানীয় ১০ জন ছাড়া বিদেশি কাউকে শুরুতে দেখা যায়নি। এদের মধ্যে উজবেকিস্তানের মোজাফররফই পুরোনো। বাকি তিনজন ঘানার স্যামুয়েল বোয়াটেং, বার্নার্ড মরিসন ও এমানুয়েল এলির অভিষেক হবে। অবশ্য বোয়াটেং গতবার রহমতগঞ্জে খেলে লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। আলফাজ বলেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়তে পারিনি। তার পরও ভালো করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখব না। ১২ সেপ্টেম্বর চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে মৌসুম শুরু হবে। প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা কিংস, এবার তারা সব দিক দিয়েই সেরা দল গড়েছে। তাই ওদের হারিয়ে শিরোপা জিততে পারলে তা হবে বাড়তি অনুপ্রেরণা।’ আরেক কোচিং স্টাফ দলের সাবেক ফুটবলার ছাঈদ হাসান কানন বলেন, ‘চার বছর আগে ক্লাবে নির্বাচন হয়েছে। মেয়াদ পার হলেও নতুন করে নির্বাচন না হওয়ায় ক্লাব কিছুটা সমস্যায় রয়েছে। তার পরও দল গড়া হয়েছে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য। আশা করি, অচিরেই সব সমস্যার অবসান ঘটবে।’ সুলেমান দিয়াবাতে, এমানুয়েল সানডে ও আরেক বিদেশি এমানুয়েল টনি ক্লাব ছাড়লেও চ্যাম্পিয়নরা লোকালদের ধরে রাখতে পেরেছে। এটাই দলের প্লাস পয়েন্ট। নতুন হিসেবে যোগ দিয়েছে সুমন রেজা, রহমত মিয়া ও রাফায়েল টুডু। এ ছাড়া জাতীয় বয়স ভিত্তিক দলের তিনজনকে দলে নেওয়া হয়েছে। ২০০৭ সালে পেশাদার লিগ মাঠে গড়ানোর পর মোহামেডান গেল মৌসুমেই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৩ বছর পর লিগ জিতেছিল মোহামেডান। যা ঐতিহ্যবাহী দলের জন্য বড্ড বেমানান। অবশ্য এর মধ্যে ফেডারেশন কাপ তিন, সুপারকাপ ও স্বাধীনতা কাপে একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল লিগ শিরোপা ধরে রাখতে মোহামেডান পরিচিত খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গড়বে। অর্থের কারণে তা সম্ভব হয়নি। এমনও হয়েছে জাতীয় দলের বেশ কজন ফুটবলার স্বেচ্ছায় মোহামেডানে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় তাদের না করে দিয়েছে ক্লাব। সুযোগ ছিল সার্কভুক্ত দেশের খেলোয়াড়দের ভেড়ানোর, তাও করেনি টিম ম্যানেজমেন্ট।