একসময় নিয়মিত হলেও সাফ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। এ আসর যে হয় তা অনেকেই ভুলে গেছেন। ২০০৮ সালের পর এ প্রতিযোগিতা আর অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৭ বছর পর আবার তা ট্রাকে গড়াচ্ছে। ৩-৫ মে ভারতের রাচিতে সাফ অ্যাথলেটিকস হবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন ১৪ জন অ্যাথলেট নিয়ে ক্যাম্প শুরু করবে। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ফেডারেশন ১৪ জনকে ক্যাম্পে ডেকেছে। অবাক করা কাণ্ড হচ্ছে ১৪ জনের মধ্যে জাতীয় প্রতিযোগিতায় রেকর্ডধারী তিনজন নেই। শটপুটে গোলাম সারওয়ার, পোলভল্টে বর্ষা খাতুন, ও সৌরভ মিয়াকে বাদ দেওয়া হয়েছে। রেকর্ডধারীদের ক্যাম্পে না ডাকার কারণ নিয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘২০১৯ সালের এস এ গেমসের বিভিন্ন ইভেন্টে প্রথম স্থানের টাইমিংকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। সে মানের সঙ্গে জাতীয় প্রতিযোগিতায় যারা কাছাকাছি টাইমিং করেছে, তাদেরই ডাকা হচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে রেকর্ডধারীদের জাতীয় দলে প্রবেশের জন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।
জানুয়ারিতে পাকিস্তানে এস এ গেমস হওয়ার কথা। তখন তাদের ক্যাম্পে ডাকা হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, এস এ গেমস তো বড় আসর। তার আগে সাফ অ্যাথলেটিকসে সুযোগ দিলে রেকর্ডধারীরা তাদের মান যাচাইয়ে সুযোগ পেতেন। এর পেছনে নিশ্চয় কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে বলে অনেকে মনে করেন।