টেক্সাস থেকে কানসাস পর্যন্ত বিস্তৃত একটি বিশাল বজ্রপাত বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ বজ্রপাত হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই বজ্রপাতটি ২০১৭ সালের অক্টোবরে ঘটে এবং তা ৮৯২ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সম্প্রতি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিওএমও) এ তথ্য প্রকাশ করে।
এই বজ্রপাত পূর্বের রেকর্ড ভেঙেছে ৬১ কিলোমিটার ব্যবধানে। পূর্বের রেকর্ডটি ছিল ২০২০ সালের ৭৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বজ্রপাত, যা টেক্সাস, লুইজিয়ানা ও মিসিসিপির ওপর দিয়ে বিস্তৃত হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা GOES-East নামের একটি আবহাওয়া স্যাটেলাইটের সাহায্যে এই বজ্রপাত শনাক্ত করেন। এই স্যাটেলাইট পৃথিবী থেকে প্রায় ২২ হাজার মাইল ওপরে অবস্থান করে। এটি মাটির কাছাকাছি সাধারণ বজ্রপাত শনাক্ত করার প্রযুক্তির চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত পরিসরে বিশ্লেষণ করতে পারে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার বিশেষজ্ঞ র্যান্ডি সারভেনি জানান, এ ধরনের বজ্রপাতকে বলা হয় ‘মেগাফ্ল্যাশ’ যা একশ কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের হয়। তিনি বলেন, আমরা এখনো বুঝে উঠছি না কীভাবে ও কেন এ ধরনের বজ্রপাত ঘটে। তবে ভবিষ্যতে আরও বড় বজ্রপাত শনাক্তের সম্ভাবনা রয়েছে।
সাধারণত বজ্রপাত মেঘের ভেতরে বিদ্যুতের চার্জ তৈরি হয়ে তা নির্গত হওয়ার সময় ঘটে। বেশিরভাগ বজ্রপাত হয় খাড়া ও ছোট পরিসরে, কিন্তু কিছু বজ্রপাত অনুভূমিকভাবে অনেকদূর বিস্তৃত হয়, যা সচরাচর দেখা যায় না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মেঘের কারণে অনেক সময় এই বিশাল বজ্রপাতগুলোর পুরো অংশ ধরা পড়ে না, তাই এদের সঠিকভাবে পরিমাপ করাও বেশ কঠিন। তবুও আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এখন এমন বিরল প্রাকৃতিক ঘটনার পর্যবেক্ষণ আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল