আমার এক প্রতিবেশী বললেন, ঈদ শেষ, টাকাও শেষ। এখন কী দিয়ে চলি বলেন তো? আমি বললাম, আপনার না মোটরসাইকেল আছে? এটা দিয়ে চলবেন। প্রতিবেশী বললেন, ভাইরে, এই চলার কথা বলিনি। বলেছি, টাকা-পয়সা যে সব শেষ, এখন সংসার চালাব কী দিয়ে? আমি বললাম, সংসার কি মোটরসাইকেল যে, চালাতেই হবে? কয়টা দিন সংসার যেভাবে আছে সেভাবেই থাকুক না। প্রতিবেশী এবার বিরক্ত হয়ে বললেন, সব বিষয় নিয়ে মজা করবেন না। সব বিষয় নিয়ে মজা চলে না। আর আপনি কেন বুঝতে পারছেন না, আমার হাত একেবারেই খালি। এই অবস্থায় সংসার চালানোর টেনশন মাথায় আসাটাই স্বাভাবিক। আমি বললাম, আপনার সমস্যাটা আমি বুঝতে পেরেছি। তবে এই সমস্যা শুধু আপনার একার না। সবাই কম বেশি এই সমস্যায় আক্রান্ত। মানে সবার হাতই খালি। তাই বলে হতাশ হয়ে গেলে তো চলবে না। মনে করতে হবে, পকেটভর্তি টাকা আছে। প্রতিবেশী বললেন, এইসব কুপরামর্শ দেবেন না তো ভাই। পারলে কিছু টাকা ধার দেন। আমি বললাম, ধারের দরকার নেই। অলরেডি নতুন মাস শুরু হয়ে গেছে। বেতন পেয়ে যাবেন। প্রতিবেশী বললেন, আপনার কাছে সব সময় কোনো না কোনো চিপা বুদ্ধি। দেখেন, সবার না হলেও অনেকেই আমার মতো দুরবস্থায় আছে। যেমন ধরেন আমার এক বন্ধু কাজ করেন একটি দোকানে। ঈদের পরে দোকানে গিয়ে দেখে তালা ঝুলছে। পরে ফোন দিয়ে জানতে পারে, আপাতত নাকি খুলবে না। কারণ, তালার চাবি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি বললাম, এটা কোনো কথা? তালার চাবি খুঁজে না পেলে আরেকটা বানিয়ে নিক। প্রতিবেশী বললেন, আরে ভাইরে কেন বুঝতে পারছেন না, তালার চাবি খুঁজে না পাওয়ার ব্যাপারটা একটা অজুহাত মাত্র। আসল কথা হচ্ছে, নতুন মাসের বেতন দিতে হবে। এই জন্য গড়িমসি। এসব গড়িমসির উদাহরণ একশটা দেওয়া যাবে। আমি এত উদাহরণ দিতে চাই না। হাত পুরো খালি। পারলে কিছু টাকা দেন। আমি বললাম, টাকা পয়সা কিন্তু হাতের ময়লা। অতএব, হাত খালি থাকা মানেই হচ্ছে হাতে ময়লা না থাকা। আশা করছি বুঝতে পারছেন ব্যাপারটা কত সুবিধাজনক। প্রতিবেশী বললেন, তাহলে ২০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েন। মানে যা ধার দেবেন, এর চেয়ে আরও ২০০ টাকা বাড়িয়ে দেবেন। আমি বললাম, কেন? প্রতিবেশী বললেন, এই যে বললেন টাকা-পয়সা নাকি হাতের ময়লা? এই জন্য হাত বারবার ধোয়ার প্রয়োজন বোধ করছি। কিন্তু হাত তো শুধু পানি দিয়ে ধুুইলে পরিষ্কার হয় না। পরিষ্কার হলেও জীবাণুমুক্ত হয় না। ২০০ টাকার হ্যান্ডওয়াশ কিনব। আমি বললাম, আপনি ওই এক জায়গায়ই আটকে আছেন। ধার আর ধার। ধারের বাইরে কিছু চিন্তা করতে পারছেন না। প্লিজ, ধারের বাইরে চিন্তা করুন। প্রতিবেশী বললেন, আপাতত এর বাইরে কিছু চিন্তা করা সম্ভব না। কারণ, আপনার ভাবি চাপ দিচ্ছে বাজারে যাওয়ার জন্য। টাকা ছাড়া বাজারে কীভাবে যাই বলেন তো? আমি বললাম, বুদ্ধি খাটান। একটু চালাক না হলে দুনিয়ায় টেকা মুশকিল। প্রতিবেশী বললেন, কী বুদ্ধি খাটাব? আমি বললাম, বাসা থেকে আপনি বাজারের ব্যাগ নিয়ে বের হবেন। ঘণ্টা দুয়েক পর খালি ব্যাগ নিয়েই বাসায় ফিরবেন। আর মুখটুখ শুকিয়ে কী বলবেন জানেন? দোকানদাররা এখনো ফেরেনি। আরও কয়দিন ছুটি কাটিয়ে নাকি ফিরবে। ততদিন একটু আলুভর্তা দিয়ে ম্যানেজ কর!
শিরোনাম
- রিয়ালকে উড়িয়ে দিল আর্সেনাল
- ‘মাইক্রোসফটের সবার হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত’, প্রতিবাদী সেই দুই কর্মীকে বরখাস্ত
- গাজায় গণহত্যা: বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ
- ওমরাহ পালনকারীদের ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সৌদি ছাড়ার নির্দেশ
- নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে ৬৬ জন নিহত
- ইন্টারের জয়
- ১১০ কেজি হরিণের মাংসসহ চোরা শিকারী গ্রেপ্তার
- ১১ জেলেকে অপহরণ আরাকান আর্মির
- দুবলারচরের শুঁটকি মৌসুম শেষ: ৯৯% জেলে লোকসানে বাড়ি ফিরছে
- সিলেট সীমান্ত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
- ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সোনারগাঁয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে শাবিপ্রবি ছাত্রদলের কর্মসূচি
- ত্বকী হত্যার ১৪৫ মাস: নির্ভুল অভিযোগপত্র পেশের দাবি রাফিউর রাব্বির
- কারামুক্ত সাবেক এমপি আজিজকে মারধর
- রাশিয়ান সেনা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন সেনাপ্রধান
- গাজা ইস্যুতে কায়রোতে মিশর-জর্ডান-ফ্রান্সের যৌথ বিবৃতি
- ধর্ম অবমাননার অভিযোগে শাস্তি মেসি সতীর্থ মার্তিনেজের
- কমল স্বর্ণের দাম
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটপাটে ৪ মামলা, গ্রেপ্তার ৬০
- ইসলামি ব্যাংকিংয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে স্বতন্ত্র বিভাগ
টাকা শ্যাষ, ছুটিও শ্যাষ
প্লিজ, টাকা ধারের বাইরে চিন্তা করুন। প্রতিবেশী বললেন, আপাতত এর বাইরে কিছু চিন্তা করা সম্ভব না। কারণ, আপনার ভাবি চাপ দিচ্ছে বাজারে যাওয়ার জন্য...
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন
