ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর-জীবননগর সড়কের কৃষ্ণচন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ডে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ও দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
গুরুতর আহত হুসাইন ইসলাম, সাফাউল, লিমন ও সাজুকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে লিমন (১৮) যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এছাড়া কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে মেজো খোকার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন উপজেলার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের বাদল রায়ের ছেলে রাজা (১৬) ও কাঠ মঙ্গল রায়ের ছেলে বিধান (২৬)।
তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান, কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের বিধান ও বাদল কুমারের ছেলে সুদেব মোটরসাইকেলযোগে খালিশপুর থেকে বাড়ি ফেরার সময় কৃষ্ণচন্দ্রপুর এলাকায় পৌঁছালে জীবননগর থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের সময় তারা ছিটকে পড়ে গেলে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরগামী একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই বিধান কুমার ও সুদেব কুমার নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন।
এই রিপোর্ট রাত ১০টা পর্যন্ত লেখা হলে জানা যায়, কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের দুইটি লাশ পুলিশ কোটচাঁদপুর হাসপাতালে ও লিমনের লাশ যশোর সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফয়েজ উদ্দিন মৃধা তিনজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঘাতক ট্রাকটি চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থেকে আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক