মিসর ও সুদানের রাজা ফারুক ১৯৫২ সালে ক্ষমতা হারান সামরিক অভ্যুত্থানে। কর্নেল নাসেরের নেতৃত্বাধীন তরুণ অফিসাররা ফারুককে মসনদ থেকে সরিয়ে তাঁর শিশুপুত্র আহমেদ ফুয়াদকে রাজা ঘোষণা করেন। যিনি ছিলেন মিসরের মোহাম্মদ আলী বংশের একাদশ এবং শেষ রাজা। রাজা ফারুক প্রথম দিকে ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু অমিতব্যয়ী প্লেবয় স্টাইলের জীবনাচারের জন্য তিনি প্রজাদের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারান। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইতালিতে নির্বাসিত হন রাজা ফারুক। সেখানেও মদ, জুয়া ও লাম্পট্যের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেন। নির্বাসন জীবনের বছর না ঘুরতেই খবর পান ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকারী সেনা অফিসাররা মিসরকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেছে। উৎখাত হয়েছে রাজতন্ত্র। সেই দুঃসময়ে রাজা ফারুক নাকি মন্তব্য করেছিলেন একসময় পৃথিবীতে দুজন মাত্র রাজা থাকবে। একজন ইংল্যান্ডের আরেকজন তাসের রাজা।
রাজা ফারুক ক্ষমতা হারানোর পর কেটে গেছে বহু বছর। এ সময়ের মধ্যে ইরানে শাহেনশাহ রেজা শাহ পাহলভির পতন ঘটেছে। যিনি ছিলেন রাজা ফারুকের ভগ্নিপতি। আফগানিস্তানের বাদশাহ জহির শাহ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন সামরিক অভ্যুত্থানে। নেপালের রাজা জ্ঞানেন্দ্রকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়েছে সাংবিধানিক সভার সিদ্ধান্তে। রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে নেপালকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বের একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র নেপালকে করা হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সংবিধান সভার সে সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো পথই খোলা ছিল না রাজার সামনে। কারণ নেপালের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই ছিল রাজার বিরুদ্ধে। আর দেশের গ্রামাঞ্চল ছিল মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সশস্ত্র গেরিলাদের দখলে।
মিসর, ইরান ও আফগানিস্তান থেকে রাজতন্ত্রের পতনের পর সেসব দেশের মানুষ ভালো আছে, তা বলার অবকাশ নেই। মিসরে রাজা ফারুকের ওপর তরুণ সেনা অফিসার ও সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কারণ ছিল ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলের কাছে মিসরের হেরে যাওয়া। কিন্তু রাজতন্ত্র উৎখাতের পর আরও দুটি যুদ্ধে মিসরকে হারতে হয়েছে আগের চেয়েও লজ্জাজনকভাবে। ইরানের শাহেনশাহ দেশ ছেড়ে পালানোর পর সে দেশে কায়েম হয়েছে মোল্লাতন্ত্র। সমৃদ্ধ ইরান অভাবি দেশে পরিণত হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে। ফলে সে দেশের মানুষের মনে ক্ষোভ থাকারই কথা। আর আফগানিস্তান তো রাজতন্ত্র উৎখাতের পর থেকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের তকমা বয়ে বেড়াচ্ছে।
একবার রাশিয়া ও একবার আমেরিকার দখলদারত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে দেশে। এখন যে তালেবান শাসন চলছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার মতো লোকজনের সংখ্যাও সে দেশে কম নয়। তারপরও মিসর, ইরান কিংবা আফগানিস্তানে কেউ আর রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে বলে আমাদের জানা নেই। ভিন্ন ঘটনা ঘটছে হিমালয়কন্যা নেপালে। রাজতন্ত্র ফেরানো এবং নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজধানী কাঠমান্ডুর রাজপথ। জ্বালাও-পোড়াও ও হানাহানি নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়েছে।
নেপালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে ২০০৮ সালে। জ্ঞানেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ দেব সে সময় ছিলেন নেপালের রাজা। সে দেশে রাজাকে মানা হতো ঈশ্বরের অবতার হিসেবে। দীর্ঘদিন ধরে দেশটির শাসনক্ষমতার নিয়ন্ত্রক ছিল দুই পরিবার। একটি রাজপরিবার। আরেকটি অতিক্ষমতাধর রানা পরিবার। ঈশ্বরের অবতার এই বিশ্বাসের ঘোরে সাধারণ মানুষের নিরঙ্কুশ সমর্থন ভোগ করতেন রাজা। যা ছিল নেপালের রাজপরিবারের রক্ষাকবচ। তবে জ্ঞানেন্দ্রর রাজা হওয়ার পেছনে বাঁকা পথের আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিয়েও সংশয় কম নয়।
রাজা জ্ঞানেন্দ্রর জন্ম ১৯৪৭ সালের ৭ জুলাই। বাবা যুবরাজ মহেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ আর মা ইন্দ্র রাজ্যলক্ষ্মী দেবী। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের দ্বিতীয় পুত্র। জ্ঞানেন্দ্রর জন্মের পর রাজ জ্যোতিষী বলেছিলেন, যুবরাজ মহেদ্র যেন নবজাতক পুত্রের দিকে না তাকান। ফলে তিনি লালিতপালিত হন ঠাকুরদা রাজা ত্রিভুবনের কাছে। আগেই বলেছি নেপাল শাসিত হতো দুই পরিবারের দ্বারা। রাজপরিবারের চেয়েও ক্ষমতাধর ছিল রানা পরিবার। এ পরিবার থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হতেন। সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে। ১৯৫০ সালে রাজা ত্রিভুবনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোহন শমসের রানার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। রানা নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে রাজাসহ রাজপরিবারের সদস্যদের ভারতে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করেন। রাজা ত্রিভুবনের পৌত্র তিন বছর বয়সি জ্ঞানেন্দ্রকে ওই বছরের ৭ নভেম্বর রাজা ঘোষণা করা হয়।
ভারত নেপালের রাজার সঙ্গে রানা পরিবারের দ্বন্দ্বকে ভালো চোখে দেখেনি। তারা প্রধানমন্ত্রী মোহন শমসের রানার ওপর চাপ সৃষ্টি করে। নেপাল শাসনে রানা পরিবারের বংশানুক্রমিক ক্ষমতা রহিত করতে বাধ্য হন শমসের রানা। ১৯৫১ সালে রাজা ত্রিভুবন ভারত থেকে দেশে ফেরেন। আবারও সিংহাসনে বসেন তিনি। রাজা ত্রিভুবন মারা যান ১৯৫৫ সালে। যথারীতি রাজা হন যুবরাজ মহেন্দ্র। যিনি ছিলেন রাজা ত্রিভুবনের জ্যেষ্ঠ পুত্র।
পাঠক, ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়া অনুচিত। তারপরও ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ টানার লোভ সংবরণ করতে পারছি না। ছোটবেলায় দাদি-নানির কাছে রাজা-রানির কাহিনি শুনে ঘুম পাড়তাম অন্য সব শিশুর মতো আমিও। তবে গল্প-কাহিনি নয়, নিজের চোখে মুখোমুখি প্রথম যে রাজা-রানিকে দেখার সুযোগ হয়েছে, তাঁরা হলেন নেপালের রাজা মহেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ ও রানি রত্ন রাজলক্ষ্মী দেবী। ১৯৬১ কিংবা ’৬২ সাল। জেনারেল আইউব খান তখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় সফরে আসেন নেপালের রাজা ও রানি। সে সময় সুন্দরবন সফরও করেন তাঁরা। আমি তখন খুলনার পল্লীমঙ্গল প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র। রাজা ও রানিকে সংবর্ধনা জানাতে কয়েকটি স্কুলের আট-নয় বছরের শিশুদের সেনাবাহিনীর বাসে করে নেওয়া হয় সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায়। যাদের মধ্যে আমিও ছিলাম।
বলছিলাম রাজা মহেন্দ্রর কথা। ভারতের সঙ্গে নেপালের বিশেষ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইউব খানের গুণমুগ্ধ ছিলেন। আইউবের মৌলিক গণতন্ত্রের আদলে রাজা মহেন্দ্র নেপালে পঞ্চায়েত শাসন কায়েম করেন।
সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো অরাজনৈতিকভাবে। নিষিদ্ধ হয় সব রাজনৈতিক দল। দেশের সব ক্ষমতা ছিল রাজার হাতে। এ নিয়ে জনমনে অসন্তুষ্টি ছিল। তবে রাজা মহেন্দ্র তা সামাল দিতে সক্ষম হন রাজার অবতার ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে। রাজার বিরুদ্ধে যাওয়া মানে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যাওয়া এই বটিকা গিলিয়ে গণতন্ত্রের দাবি রুখে দিতে সক্ষম হন তিনি।
নেপালের রাজা মহেন্দ্র মারা যান ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি। সিংহাসনে বসেন যুবরাজ বীরেন্দ্র বীর বিক্রম দেব শাহ। রাজা বীরেন্দ্র ছিলেন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত নেপালের প্রথম রাজা। তিনি পড়াশোনা করেছেন ইংল্যান্ডের এটন কলেজে, টোকিও এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। দীর্ঘ ১৮ বছর তিনি তাঁর বাবা রাজা মহেন্দ্রর রেখে যাওয়া পথে নেপাল শাসন করেন। হিমালয় পাদদেশের এই দেশটিতে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির সুযোগ না থাকায় অনিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির বিস্তার ঘটে ভয়াবহভাবে। সশস্ত্র বিপ্লবে বিশ্বাসী মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির শক্তি দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। দেশ ও বিদেশের মুরব্বিদের চাপে রাজা বীরেন্দ্র রাজনৈতিক দলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়ও সম্মতি দেন তিনি। দেশ পরিচালনায় জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি বা নেপালের পার্লামেন্টের কর্তৃত্ব স্বীকার করা হয়।
বীরেন্দ্রের এ পদক্ষেপে দেশবাসীর কাছে রাজার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। জনগণের হৃদয়ের রাজাও হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু রাজা বীরেন্দ্রসহ রাজপরিবারের সদস্যদের রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুধু রাজপরিবার নয়, দেশ হিসেবে নেপালের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে।
২০০১ সালের ১ জুন। রাজপরিবারের নৈশভোজসভায় ক্রাউন প্রিন্স দীপেন্দ্র মাতাল অবস্থায় প্রবেশ করেন অস্ত্র হাতে। তারপর বাবা-মা-ভাইবোনসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেন। দীপেন্দ্র বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তাঁর প্রেমিকাকে। এতে ছিল তাঁর মায়ের আপত্তি। এ কারণে হতাশ যুবরাজ পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গুরুতর আহত হন তিনি। লাইফ সাপোর্টে থাকার তিন দিন পর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, তারাও বলেছেন দীপেন্দ্রের হাতেই শুধু অস্ত্র ছিল। তবে প্রশ্ন ওঠে, নৈশভোজে রাজার ভাই জ্ঞানেন্দ্র অনুপস্থিত ছিলেন কেন? এটি কী সাজানো নাটক না অন্য কিছু?
রাজা বীরেন্দ্রসহ রাজপরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর পর জ্ঞানেন্দ্রর জন্য রাজা হওয়ার পথ খুলে যায়।
২০০১ সালের ৪ জুন রাজা হিসেবে শপথ নেন জ্ঞানেন্দ্র। তারপর থেকে শুরু হয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র। নির্বাচনের আয়োজন ও মাওবাদীদের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে না পারার অজুহাতে পরপর তিনজন প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়। তারপর ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পার্লামেন্ট স্থগিত করে সব ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেন রাজা। জ্ঞানেন্দ্রর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে সব রাজনৈতিক দল। রাজপথে নেমে আসে সাধারণ মানুষ। ২০০৬ সালের শুরুতেই রাজার কর্তৃত্ব কাঠমান্ডুর রিং রোডের রাজপ্রাসাদে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। সেনাবাহিনী রাজার প্রতি অনুগত থাকলেও সেখানেও ছিল অনিশ্চয়তা। ঠিক এ অবস্থায় ঈশ্বরের অবতার নেপালের রাজাকে রক্ষায় এগিয়ে আসে বিশ্ব রাজনীতির ঈশ্বর যুক্তরাষ্ট্র। এগিয়ে আসে দক্ষিণ এশিয়ায় মহাক্ষমতাধর দেবতার ভূমিকায় আবির্ভূত ভারত। তাদের পরামর্শে রাজা স্থগিত পার্লামেন্ট পুনর্বহালে বাধ্য হন। পার্লামেন্ট সংবিধান সংশোধনে গণপরিষদের বৈঠক ডাকে। ২০০৮ সালে গণপরিষদের প্রথম বৈঠকেই রাজতন্ত্র বিলোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হিন্দু রাষ্ট্রের বদলে ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয় নেপাল।
২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত নাক না গলালে বিপ্লবের মাধ্যমে রাজা জ্ঞানেন্দ্রর পতন ঘটত। রাজতন্ত্র দূরের কথা রাজার জীবন বাঁচানোও দায় হয়ে পড়ত। প্রশ্ন হলো, সেই নেপালে রাজতন্ত্র ফিরে পেতে চাচ্ছে কারা? বিক্ষোভ সংঘটনে কলকাঠি নাড়ছে কারা। নেপালে এ মুহূর্তে কমিউনিস্টরা সবচেয়ে শক্তিশালী পক্ষ। স্থলবেষ্টিত ওই দেশের দুই দিকে দুই বৃহৎ প্রতিবেশী চীন ও ভারত। চীনবিরোধী অবস্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কখনো চাইবে না নেপালে কমিউনিস্ট আধিপত্য জেঁকে বসুক। এ ক্ষেত্রে ভারতের স্বার্থও অভিন্ন। ভারতে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণার পথে হাঁটতে পারছে না তারা।
একসময়ের হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিবেশী নেপালের ধর্মনিরপেক্ষ হওয়াকে মেনে নিতে পারেনি বিজেপি ও তাদের মুরব্বি দল আরএসএস। তারা তাদের অনুসারী নেপালের রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টিকে দিয়ে এ বছরের ৫ মার্চ নেপালে যে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে, তাতে বরং রাজতন্ত্র বিরোধীরাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে সাবেক রাজাকে বিক্ষোভে মদত দেওয়ার জন্য জরিমানা করেছে কাঠমান্ডু নগর কর্তৃপক্ষ। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় নেপালের সাংবাদিক বন্ধুরা সাফ সাফ বলেছেন, সে দেশের রাজনীতিতে কমিউনিস্টরাই সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সুসংগঠিত। মোদি বা ট্রাম্প সাহেবরা রাজতন্ত্রীদের যত মদতই দিন না কেন তাতে কোনো কাজ হবে না।
লেখক : সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
ইমেইল :[email protected]