সারা বিশ্বেই মানুষ সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে যাচ্ছে। মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব পরবর্তীতে তার সামগ্রিক জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। যা তার সুস্থ থাকার জন্যও বড় বাধা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইসও) বলছে, মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য সামাজিক বন্ধন বা যোগাযোগ অপরিহার্য। বর্তমানে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও একাকীত্ব এক নীরব মহামারির মতো হয়ে উঠেছে। সব বয়সী মানুষের সুস্থতার জন্য বড় হুমকি তৈরি করছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জন মানুষ একাকীত্বে ভুগছেন।
বিশেষ করে কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে এই হার ১৭ থেকে ২১ শতাংশ, যা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া উচ্চ আয়ের দেশগুলোর তুলনায় নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে একাকীত্বের হার প্রায় দ্বিগুণ।
প্রতিবেদন বলছে, একাকীত্ব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা শুধু মানসিক অবস্থা নয়, বরং তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, একাকীত্ব প্রতিবছর সারাবিশ্বে প্রায় ৮ লাখ ৭১ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ।
এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উদ্বেগ ও ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া শিক্ষাগত ও কর্মজীবনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মানুষের কর্মদক্ষতা কমে আয়ও কমে যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কমিশন অন সোশ্যাল কানেকশন একে গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারা সামাজিক সম্পর্ক-যোগাযোগকে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সমান গুরুত্ব দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা