সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং দেবহাটা উপজেলার মোট ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা সদর-২ আসন। এ আসনে বিএনপির অন্তত ছয়জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছেন। তাঁরা হলেন ঢাকা এমিনেন্স কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক ডাকসু নেতা শফিকুল ইসলাম শাহেদ, জেলা বিএনপির চারবারের আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ, সাবেক আহ্বায়ক ও জজ কোর্টের সাবেক পিপি সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবদুল আলীম, বর্তমান জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক তাজকিন আহম্মেদ চিশতি, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল রউফ এবং সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হলেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও সাবেক জেলা আমির মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুল খালেক। এ ছাড়া এ আসন থেকে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আক্তারুজ্জামান।
মনোনয়ন সম্পর্কে বিএনপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ বলেন, ছাত্রদলের রাজনীতি করে বড় হয়েছি। এরশাদবিরোধী ও হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ছিলাম। আমাকে মনোনয়ন দিলে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করব। আবদুুর রউফ সরদার বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করায় ২০১১ সালে আমার একমাত্র ছেলে যুবদল নেতা আবু সেলিম ঢাকা থেকে গুম হয়। ১৪ বছর পার হলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। দমন-পীড়ন সত্ত্বেও বিএনপির কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সংগঠনকে সুসংগঠিত রাখতে গুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিশ্চই এই ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন।’ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ বলেন, ‘জনগণের রায়ে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এ জেলার জন্য ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি নেওয়া হবে। জেলার জলাবদ্ধতা নিরসন, মাদক ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
জামায়াত প্রার্থী মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুল খালেক বলেন, ‘নির্বাচনে বিজয়ী হলে অবহেলিত সদর আসনের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসন, মুন্সিগঞ্জ থেকে নাভারন রেললাইন স্থাপন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বন্ধসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা হবে।’