সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত দই স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে এই দই যদি ভেজাল হয় তাহলে স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকারক হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে রান্নাঘরে পাওয়া কিছু জিনিসের সাহায্যে সহজেই পরীক্ষা করতে পারবেন যে দইটিতে কোনো ভেজাল আছে কি না।
গরমের দিনে দই নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। দই বাটারমিল্ক, লাচ্ছি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। এমন পরিস্থিতিতে ভেজাল দই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতি করতে পারে।
দই দীর্ঘক্ষণ সাদা ও ঘন রাখার জন্য হাইড্রোজেনেটেড তেল বা সস্তা উদ্ভিজ্জ তেল যোগ করা হয়। এই ধরনের তেলে উচ্চ পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
এ ছাড়া কিছু জায়গায় কৃত্রিম দুধ বা ভেজাল দুধ ব্যবহার করে দই তৈরি করা হয়। এই দুধে ডিটারজেন্ট, স্টার্চ, ইউরিয়া বা শ্যাম্পুর মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক ইতোমধ্যেই ব্যবহার করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে এই ধরনের ভেজাল দই খেলে পেট ও লিভারের গুরুতর সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া এটি কিডনির ওপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই দই খাওয়ার আগে তার বিশুদ্ধতা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য আমরা কিছু সহজ টিপস ব্যবহার করতে পারি। যার সাহায্যে আমরা সহজেই জানতে পারি যে দই আসল কি না।
দইয়ের বিশুদ্ধতা শনাক্ত করার জন্য আমরা আমাদের হাত ব্যবহার করতে পারি। দই খাওয়ার আগে আঙুল ও বুড়ো আঙুলের মধ্যে ঘষে নিন।
এ ক্ষেত্রে যদি দই সম্পূর্ণরূপে গলে যায়, তাহলে সেই দই ভেজাল নয়। কিন্তু যদি এর ঘনত্ব সাবানের মতো আঠালো থাকে, তাহলে সেই দই ভেজাল হতে পারে।
এ ছাড়া আমরা দইয়ের গন্ধ নিয়েও বুঝতে পারি দইয়ে ভেজাল আছে কি না। খাঁটি দইয়ের টক স্বাদ এবং প্রাকৃতিক সুবাস থাকে। অন্যদিকে যদি এই গন্ধ ছাড়া আপনি দইয়ে কোনো ধরনের গন্ধ অনুভব না করেন তবে এটি ভেজালের কারণ হতে পারে।
তাই দই কেনার সময় কিছু বিষয়ের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। দইয়ের প্যাকেটে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন আছে কি না, সেটা লেখা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া দই কেনার সময় অবশ্যই এর উৎপাদন ও মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ দেখে নিতে হবে।
সূত্র : নিউজ ১৮
বিডি প্রতিদিন/আশিক