শরীরে আয়রনের ঘাটতি ধীরে ধীরে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে, যা শুরুতে সহজে বোঝা যায় না। তবে সময়মতো এই লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে পারলে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। চিকিৎসকদের মতে, আয়রনের অভাবে রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) দেখা দেয়, যা দেহের শক্তি ও কার্যক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। নিচের লক্ষণগুলো থাকলে অবহেলা না করে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
১. অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা
দিনের স্বাভাবিক কাজেও যদি অল্পতেই অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে, সেটি আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। রক্তে অক্সিজেন পরিবহনের ক্ষমতা কমে যাওয়ায় পেশি ও অঙ্গগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।
২. ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এটি ঠোঁট, চোখের ভেতরের অংশ ও নখে সহজেই বোঝা যায়।
৩. শ্বাসকষ্ট ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া
সিঁড়ি ভাঙা বা হাঁটার সময় হঠাৎ হাপিয়ে যাওয়া কিংবা বুক ধড়ফড় করা আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। রক্তে অক্সিজেন কম থাকলে হৃদপিণ্ডকে বেশি কাজ করতে হয়।
৪. মাথা ঘোরা ও মাথাব্যথা
মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পৌঁছালে নিয়মিত মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা কিংবা মনোযোগে ঘাটতির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. নখ ও চুলের দুর্বলতা
আয়রনের অভাবে নখ ভঙ্গুর হয়ে যায় কিংবা চামচের মতো আকার ধারণ করতে পারে। একই সঙ্গে চুল পড়াও বেড়ে যেতে পারে।
৬. অদ্ভুত জিনিস খাওয়ার আকর্ষণ (পিকা)
মাটি, কাদা, বরফ, এমনকি কাগজ খাওয়ার প্রবণতা পিকার লক্ষণ, যা সাধারণত আয়রনের ঘাটতির কারণে হয়ে থাকে।
৭. মনোযোগ ও একাগ্রতার অভাব
আয়রন মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এর অভাবে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
পরামর্শ:
উল্লেখিত লক্ষণগুলোর মধ্যে একাধিক নিয়মিতভাবে দেখা গেলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে আয়রনের মাত্রা জানা উচিত। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যতালিকায় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন বা ওষুধ গ্রহণ শুরু করুন।
সূত্র: এশিয়া নেট বাংলা
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ