পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা পর্যবেক্ষণে আসতে চায়, তাদের আমরা উৎসাহিত করব। তবে নির্বাচনি পর্যবেক্ষণের আড়ালে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্নাম করতে আসুক, সেটা আমরা চাই না। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে প্রাক-নির্বাচনি দল পাঠিয়েছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআই প্রতিনিধিদল এসেছে। এ ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যবেক্ষণে আগ্রহ দেখিয়েছে।
আমরা চাই আরও পর্যবেক্ষক আসুক। তবে বিদেশি পর্যবেক্ষক কারা হবেন, সেটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। আমরা ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করব।
সম্প্রতি ঢাকায় মনোনীত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনের সিনেট শুনানিতে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ঝুঁকি শীর্ষক বক্তব্য প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আমরা সবার সঙ্গে সম্পর্কে এক ধরনের ভারসাম্য বজায় রেখে চলি। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও গভীর সম্পর্ক আছে, আবার চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক আছে। প্রতিটি দেশের সঙ্গেই আমাদের পারস্পরিক স্বার্থ জড়িত। বাংলাদেশ যে ভারসাম্য রক্ষা করে আসছে, তা বহাল থাকবে। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎ সরকারও এই ভারসাম্য বজায় রাখবে।
ভারতের পররাস্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রিকে পাল্টা প্রশ্ন না করায় ভারতে সফরকারী সাংবাদিকদের সমালোচনা করেছেন তৌহিদ হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আপনাদের মুখে একটি প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তারা বাংলাদেশে আগামীতে একটি স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। তখন, আপনাদের বলা উচিত ছিল বিগত ১৫ বছরে আপনারা (ভারত) এ প্রশ্ন তোলেননি কেন? আগের নির্বাচনগুলো কি সঠিক ছিল? ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নিজে থেকেই এ সুযোগটি দিয়েছিলেন। আপনারা প্রশ্নটি করেননি। এ প্রশ্নটি সাংবাদিকদের করা উচিত ছিল।
ইসলামি বক্তা জাকির নায়েক বাংলাদেশে আসছেন কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাকির নায়েককে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে কি না, সেটা আমি শুনিনি। আমার জানা নেই।
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গুয়েন লুইসের পরিবর্তে নতুন যিনি বাংলাদেশের জন্য মনোনীত হয়েছেন, তাঁকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটুকু আপনাদের বলতে পারি, বাংলাদেশে সমস্যা সৃষ্টি হয়, এমন কেউ আসবেন না। এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলতে চাই না।