মিঠাপানির মাছের প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীকে হেরিটেজ ঘোষণা করে চার বছর আগে প্রকাশিত গেজেটটি সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, তামাক চাষ ও নদী দূষণ বন্ধে এই গেজেট সংশোধন অত্যন্ত জরুরি।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ‘হালদা নদী মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন। সভায় হালদা নদীর সমস্যা, সম্ভাবনা ও সমাধানের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুসরাত সুলতানা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জমির উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা বেগম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার বলেন, হালদা নদীর উন্নয়নমূলক অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে গেজেটের কিছু ত্রুটির কারণে। সেগুলো পরিবর্তন করতে হবে। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করে বর্তমান সরকারের মেয়াদেই প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদী দূষণ বন্ধ করা হবে। তামাক চাষ হালদা নদীর তীরবর্তী ভূমির উর্বরতা নষ্ট করছে এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য বড় হুমকি তৈরি করছে। তবে তামাক চাষ বন্ধ করতে হলে কৃষকদের বিকল্প জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সভায় ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর হালদা নদীকে হেরিটেজ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পড়েছে—যেমন, অববাহিকায় তামাক চাষ নিষিদ্ধের সুপারিশটি অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এসব ত্রুটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত আজকের সভায় নেওয়া হয়েছে এবং মাননীয় উপদেষ্টা দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন