ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাজেদা বেগম বলেছেন, শিক্ষার্থীরা খাতায় যেভাবে লিখেছে তা মূল্যায়ন প্রকৃতভাবেই হয়েছে বলে মনে করি। আগে সৃজনশীলের খাতা মূল্যায়নটি সহজ করা ছিল। এই ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে উত্তর যতটুকু লিখেছে ততটুকুই নম্বর দেওয়া হয়েছে বলে মনে করি। পূর্বের তুলনায় মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন এসেছে। এর প্রভাব পড়েছে ফলাফলে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ অধ্যক্ষ বলেন, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যে পরিবর্তন হলো সেটি শিক্ষার্থীদের আগে জানিয়ে দেওয়া গেলে ফলাফলে হয়তো এতটা বিপর্যয় হতো না। তিনি বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নগুলোও কিছুটা কঠিন হয়েছে তুলনামূলকভাবে যার কারণে অনেকে ভালোভাবে উত্তরগুলো লিখতে পারেনি। এসব নানা কারণে হয়তো পরীক্ষার ফলও কমেছে, জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও কমে গেছে। আমি মনে করি, শিক্ষার মূল্যায়ন যথাযথভাবেই হওয়া উচিত। যে ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ অর্জন করবে উচ্চশিক্ষা স্তরে তার মূল্যায়ন সেভাবেই হওয়া উচিত। শিক্ষার মান যেন আমরা বজায় রাখতে পারি।
এগুলো বজায় রাখতে আমাদের কঠোর হতে হবে। মাজেদা বেগম বলেন, যারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে তাদের পূর্ণ উদ্যমে ফের পড়াশোনা শুরু করতে হবে। করোনা মহামারির পর ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করার মানসিকতায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে ফিরতে হবে শিক্ষার্থীদের, একই সঙ্গে পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে- পড়াশোনা শুধু পাস করা নয়, পড়াশোনাকে আত্মস্থ করে ধারণ করতে হবে।