বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিবিসি বাংলার সাক্ষাৎকার নিয়ে অনলাইনভিত্তিক একটি গবেষণা করেছে স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি ফোরাম। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা অনুযায়ী, নেটিজেনের ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ সাক্ষাৎকারটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ নেতিবাচক এবং ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ নিরপেক্ষ প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
গবেষণাটি বলছে, সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের পর অনলাইনে আলোচনা, মন্তব্য ও সার্চ ইন্টারেস্ট বেড়ে যায়। সামাজিক মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’, ‘তারেক রহমান’, ‘জনতার নেতা’, ‘দেশের ভবিষ্যৎ’ এমন শব্দ ছিল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত। সাক্ষাৎকারটি নিয়ে ১৯৮টি সংবাদ প্রতিবেদন এবং ৪৯৩টি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ইউটিউব, ফেসবুক, এক্স (টুইটার) ও সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারের বিশ্লেষণ ও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি ফোরাম জানায়, সাক্ষাৎকার প্রচারের পর থেকে গুগল সার্চ ইন্টারেস্টে ‘তারেক রহমান’ সংক্রান্ত অনুসন্ধান দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং ৬ অক্টোবর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।
স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি ফোরামের পরিচালক (প্রশাসন) ইঞ্জিনিয়ার আসিফ হোসাইন রচি বলেন, ‘তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার জনগণের মাঝে রাজনৈতিক নতুন আস্থার সঞ্চার করেছে। পরিসংখ্যান বলছে, মানুষ কেবল আগ্রহীই নয়, বরং তার বক্তব্যে ভবিষ্যৎ রাজনীতির রূপরেখা দেখতে পাচ্ছে।’ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (গণসংযোগ) মাহবুব নাহিদ বলেন, ‘বিবিসির সাক্ষাৎকারটি ছিল প্রজ্ঞাবান, সংযত ও দূরদর্শী নেতার রাষ্ট্রচিন্তার প্রতিফলন।
নেটিজেনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে- বাংলাদেশের মানুষ এখনও আশার রাজনীতি খোঁজে এবং নেতৃত্বে বিশ্বাস রাখতে চায়।’