জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না করে নির্বাচন আয়োজন করলে জনগণ তা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই। গতকাল রাজধানীর বাড্ডা ইউলুপসংলগ্ন মেইন রোডে পাঁচ দফা দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের সময় আমাদের সামনে তিনটি মৌলিক স্লোগান ছিল- সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার। কিন্তু বাস্তবে যেই শক্তি দেশের ক্ষমতা নিয়েছে, তারা একটিও পূর্ণ করতে পারেনি।’ তিনি আরও বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর যে রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে তা ইসলামের পক্ষে। দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে, আগের শক্তি আবার ক্ষমতায় এলে তারা আবার কী ‘মধু’ খাওয়াবে।
বরিশাল : পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে বরিশাল নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহানগর ও জেলা শাখা।
চট্টগ্রাম : জুলাই সনদের স্বীকৃতি, খুনিদের বিচার, রাষ্ট্র সংস্কারসহ পাঁচ দাবিতে গতকাল চট্টগ্রাম নগরীর ওয়াসা মোড়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
খুলনা : জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল বিকালে খুলনা নগরীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
গানের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ওলামা মাশায়েখরা। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা। গতকাল জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম থেকে ‘জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘গানের শিক্ষক নয় বরং ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ সময়ের দাবি। আমাদের দেশে ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। অথচ শিক্ষা ব্যবস্থায় সেই ফরজ শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়নি। ফরজে আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের, কিন্তু তারা তা পালন করছে না। আমরা সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গানের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে।’ এ সময় জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, প্রচার সম্পাদক হামিম আবদুল আজিজসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।