ভারতে মোদি সরকারের শ্রমিক-কৃষকবিরোধী নীতি ও কর্পোরেটপন্থি অবস্থানের প্রতিবাদে গতকাল সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন ২৫ কোটি শ্রমিক। ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের যৌথ প্ল্যাটফর্ম এই ধর্মঘট ডেকেছিল।
কর্মসূচির কারণে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, কেরালা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, পুডুচেরি, পাঞ্জাব, বিহারের মতো রাজ্যগুলো অচল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি গুয়াহাটি, প্রয়াগরাজ, আমদাবাদ, মুম্বাইসহ একাধিক শহরেও মিশ্র প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে জায়গা বিশেষে ব্যাংকিং, বিমা, ডাকঘর, বিদ্যুৎ পরিষেবা, রেল ও সড়ক চলাচল বন্ধ থাকে। একাধিক শহরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের একাধিক শাখাও বন্ধ থাকে। শ্রমিক ধর্মঘটের ফলে রাজপথে বেসরকারি যানবাহনের সংখ্যা ছিল কম। অ্যাপ নির্ভর ট্যাক্সির সংখ্যাও কম ছিল। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা শহরের পাশাপাশি জেলাগুলোর বেশ কিছু জায়গায় বন্ধ সমর্থনকারী শ্রমিক এবং রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বচসা হয়, কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন ধর্মঘট সমর্থনকারী সংগঠনগুলোর কর্মী-সমর্থকরা। এদিন সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের দমদম, হাবড়া, যাদবপুর, আসানসোল, ব্যারাকপুর, বর্ধমান, পুরুলিয়া, সল্টলেক, নিউ টাউন, হাওড়াসহ রাজ্যটির একাধিক জায়গায় একদিকে যেমন ধর্মঘটের সমর্থনে সিপিআইএমসহ শ্রমিক সংগঠনগুলো মিছিল করে। গাড়ির টায়ার জ্বালিয়েও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।