বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্ক, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল, উচ্চ ব্যাংক সুদ এবং গ্যাস ও বিদ্যুতের ঘন ঘন মূল্য বৃদ্ধি পোশাকশিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শিল্পের সম্প্রসারণ ও শিল্পকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
গতকাল বিডার কার্যালয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ সহযোগিতা চান বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, সহসভাপতি ভিদিয়া অমৃত খান এবং পরিচালক সামিহা আজিম। বিডা ও বেজার পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী সদস্য (ইনভেস্টমেন্ট ইকোসিস্টেম) মো. মোখলেসুর রহমান এবং বেজার নির্বাহী সদস্য সালেহ আহমেদ। বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্ক, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল, উচ্চ ব্যাংক সুদ এবং গ্যাস ও বিদ্যুতের ঘন ঘন মূল্য বৃদ্ধি পোশাক শিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।’ এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শিল্পের সম্প্রসারণ ও শিল্পকে এগিয়ে নিতে বিডার সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে জানান।
আলোচনাকালে বিজিএমইএ সভাপতি চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র ও মাঝারি পোশাক কারখানাগুলোকে টিকিয়ে রাখতে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা এই কারখানাগুলোকে একটি নির্দিষ্ট জোনে একত্রিত করে সমন্বিত গার্মেন্ট শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন। তিনি চট্টগ্রামে বিজিএমইএ-এর অনুকূলে প্রতীকী মূল্যে একখ জমি বরাদ্দের জন্য বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানান। নির্বাহী চেয়ারম্যান বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেন এবং জানান, অনতিবিলম্বে বিজিএমইএ ও বিডা প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে, যা এক সপ্তাহের মধ্যে একটি কর্ম-পরিকল্পনা পেশ করবে। বিজিএমইএ নেতারা পোশাক শিল্পকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে না রেখে স্বতন্ত্রভাবে বস্ত্র ও পোশাক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানান। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের অসামান্য অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি বিজিএমইএ নেতাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, পোশাক শিল্পের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি খাতের অংশীদারি জোরদার করার পাশাপাশি বিডা সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।