বিভিন্ন খাতে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উদ্যোগগুলো উপস্থাপন করতে বুকলেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুকলেটে সংক্ষিপ্ত আকারে গত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সংস্কারের সামগ্রিক চিত্র ও চলমান সংস্কার উদ্যোগগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এসব সংস্কারে প্রধানত স্থান পেয়েছে বিভিন্ন আইন সংশোধন ও বাতিল, নীতিমালা পরিবর্তন ও প্রণয়ন, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে আগস্ট থেকেই এসব সংস্কারের কাজে হাত দেয়। সবচেয়ে বেশি সংস্কার এসেছে বিদ্যুৎ খাতে। জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের হাতে ন্যস্ত করতে গত আগস্টেই বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইনের সংশোধনী বাতিল করে সরকার। নভেম্বরে অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাতিল করা হয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সবচেয়ে বেশি লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। আগে বেসরকারি খাত বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে উৎপাদন না করলেও নিয়মিত তাদেরকে বড় অঙ্কের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং চার্জ দিতে হতো। চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করে এসব ধারা বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতেই ছয়টি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রেলওয়ে, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, আর্থিক খাত, তথ্য-যোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাত, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ও শিশু নিরাপত্তা, শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, সামাজিক নিরাপত্তা, শ্রমিক অধিকার, অভিবাসন, মানবাধিকার, যুব উদ্যোক্তা, পাবলিক সার্ভিসসহ বিভিন্ন খাতে মোট ৪৫টি সংস্কার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বুকলেটে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন খাতে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার উদ্যোগগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। তবে এটি কোনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা নয়। সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি ও নতুন উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি নিয়মিত হালনাগাদ করা হবে।