রংপুরে সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী হাঁড়িভাঙা আম আনুষ্ঠানিক সংগ্রহ শুরু না হলেও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এ আম। সাধারণত জানুয়ারির প্রথমে হাঁড়িভাঙা আমের মুকুল দেখা গেলেও এবার এসেছে ফেব্রুয়ারিতে। সেই হিসেবে আম পাকার কথা এক মাস দেরিতে। কিন্তু হট টেম্পারেচারের কারণে বদলে গেছে হাঁড়িভাঙার ক্যালেন্ডার। প্রচণ্ড দাবদাহের প্রবাহে আগেই পাকতে শুরু করেছে আম। কৃষি অফিসের ধারণা ছিল এবার হাঁড়িভাঙা জুনের শেষে বা জুলাইয়ের প্রথমে পাড়া হবে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে আম পাড়া ও বাজারজাত শুরু হয়েছে। কৃৃষি অফিস ও আম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাঁড়িভাঙা আমের মুকুল আসার পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে আম ঘরে তোলা যায়। এবার কিছুটা ব্যতিক্রম হয়েছে। এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করেছে মে মাস থেকেই। এজন্যই এবার আগেভাগে আম পাকতে শুরু করেছে। রংপুর কৃষি অফিসের তথ্য মতে, রংপুরে এবার হাঁড়িভাঙা আম ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার মেট্রিক টন। যার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকার বেশি। বর্তমানে প্রতি কেজি আম ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জেলায় হাড়িভাঙা ছাড়াও ফজলি, কেরোয়া, এছাহাক তেলি, ছাইবুদ্দিন, আশ্বিনী, সাদা নেংড়া, কালা নেংড়া, কলিকাতা নেংড়া, মিশ্রি ভোগ, গোপাল ভোগ, আম্রপলি, সাদা রচি, চোচা, ও আঁটি জাতীয় আমের ফলন হয়। তবে হাঁড়িভাঙা আমের ফলন বেশি হয়। বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরের আমচাষি শামছুজ্জামান জানান, এবার আমের মুকুল দেরিতে এলেও আগাম পাকতে শুরু করেছে। আমের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এবার মুকুল জানুয়ারির পরিবর্তে ফেব্রুয়ারিতে এলেও হট টেম্পারেচারে আগাম পাকতে শুরু করেছে। তাই ২০ জুন থেকে আনুষ্ঠানিভাবে হাঁড়িভাঙা আম বাজারজাত শুরু হতে পারে।’