কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের পুরোনো চক্র ও সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে এমন অভিযোগ করে সিন্ডিকেট এবং চামড়াশিল্প ধ্বংসের দেশিবিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার রক্ষা আন্দোলন।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এ দাবি জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মির্জা শরিফুল আলম। বক্তব্য দেন গবেষক ও কলামিস্ট মীর আবদুল আলীম, রাজনীতিবিদ নুরুজ্জামান হীরা, মানবাধিকারকর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও চামড়া বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসেবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে। কোরবানি দাতাদের থেকে তারা সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন এবং ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংগ্রহ করে চামড়ার ন্যায্য দাম মিলছে না। তিনি বলেন, দেশে এবার বিপুলসংখ্যক পশু জবাই হলেও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আবার প্রতি বছরের মতো এবারও বেশির ভাগ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে। বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়াশিল্প। দেশে ও বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম আকাশচুম্বী, অথচ কোরবানির চামড়া শিল্প নিয়ে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে।