নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা। গতকাল সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয় হাসপাতালের মূল ফটক। নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা কাউকেই ভিতরে প্রবেশ করতে দেননি। সারা দিনই বন্ধ ছিল চিকিৎসাসেবা। এতে বিপাকে পড়েন রোগীরা।
কর্মচারীদের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধাদের দুর্ব্যবহার, হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বুধবার কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার পর হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারা। এর জেরে গতকালও তারা কর্মবিরতি পালন করেন। হাসপাতালের এক কর্মচারী বলেন, বুধবারের সংঘর্ষের পর গতকাল চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীদের কেউ হাসপাতালে যাননি। এ কারণে হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স বলেন, তিনিসহ কয়েকজন নার্স সকালে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, তবে ফটক বন্ধ থাকায় ফেরত চলে এসেছেন। এদিকে হাসপাতালের সেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। মূল ফটক থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে তাদের। এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরাও আছেন সংকটে। চিকিৎসা না পাওয়ায় বেশ কিছু রোগী হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন বলেও জানা যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা জাহেদা খাতুন জানান, সকালে বৃষ্টির মধ্যে চোখ পরীক্ষা করতে আসেন তিনি। তবে গেট দিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কর্তব্যরত নিরাপত্তা সদস্যরা জানান, কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ আছে।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, হাসপাতাল বন্ধ, কোনো কার্যক্রম চলছে না। উল্লেখ্য, চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে কয়েক দিন পর পর হাসপাতালের কর্মচারী-নার্সদের বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। অনেক সময় সেটি মারামারি এবং হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। চলতি সপ্তাহেই চারজনের আত্মহত্যার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়। গত মঙ্গলবার কয়েকজন জুলাই যোদ্ধা পরিচালকের রুমে দাহ্য পদার্থ নিয়ে প্রবেশ করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সবাই।