বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান তাঁর মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু প্রতিষ্ঠিত দুস্থ অসহায় ছিন্নমূল শিশু-কিশোরদের প্রতিষ্ঠান ‘সুরভি’র কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে ডা. জুবাইদা রহমান রাজধানীর ধানমন্ডিতে সুরভির কার্যালয়ে প্রবেশ করলে তাঁকে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডা. জুবাইদা রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ৪৬ বছর ধরে সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ‘সুরভি’। সুরভির শিক্ষার্থীরা কোরআন তেলাওয়াত, তর্জমা, কবিতা আবৃত্তি, উপস্থাপনা, গান, নৃত্য ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক চর্চায় পারদর্শী। শিক্ষাদান কর্মসূচি ছাড়াও সুরভির ব্যাপক সমাজকল্যাণমূলক কর্মকা রয়েছে। যেমন-যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুরভির সদস্যরা দেশের দূরদূরান্তে ছুটে যান আত্মমানবতার সেবায়। দেশের ৪১ জেলায় টিউবওয়েল প্রতিস্থাপন কর্মসূচি, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো, মহিলাদের কম্পিউটার ট্রেনিং, উচ্চতর শিক্ষায় বৃত্তিদান কর্মসূচি, মেডিকেল সরঞ্জাম সরবরাহ, রক্তদান কর্মসূচি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রভৃতি। পরে ডা. জুবাইদা রহমান সুরভির ক্লাসরুম পরিদর্শনকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কথা বলেন ও নানান প্রশ্নের মাধ্যমে তাদের মনের কথা জেনে নেন। তাদের কবিতা আবৃত্তি, কোরআন তেলাওয়াতসহ বিভিন্ন পারদর্শীতা দেখাতে অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীদের তিনি উৎসাহ দেন এবং তাদের লক্ষ্যপূরণে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর ৪৭ বছর ধরে দেশজুড়ে চলা সুরভির কর্মকান্ডের আলোকচিত্র ও ছবির প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন ডা. জুবাইদা রহমান। নিজের মা ও সুরভির প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর আঁকা ছবিগুলোও পরিদর্শন করেন। একপর্যায়ে সুরভির ওপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্রের প্রদর্শনী উপভোগ করেন ডা. জুবাইদা রহমান। সুরভির নির্বাহী পরিচালক মো. আবু তাহেরসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মচারী-কর্মকর্তা ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সমাজসেবক সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ছিন্নমূল শিশু-কিশোরদের প্রতিষ্ঠান সুরভি শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছে প্রায় ৪০ লাখ শিশু-কিশোরদের। তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলায় সুরভির প্রয়াস অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সুরভি একটি বিশ্বাস এবং এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই শিশু-কিশোরদের অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোকিত জীবনে উৎসাহিত করে।