দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছে ১০ শতাংশ মানুষ। গত সাত বছরে থ্যালাসেমিয়া রোগী বেড়েছে তিন গুণের বেশি। থ্যালাসেমিয়ার এক বাহকের সঙ্গে আরেক বাহকের বিয়ে হলে জন্ম নেওয়া সন্তান এই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। বিয়ের আগে তরুণ-তরুণীরা থ্যালাসেমিয়ার বাহক কি না এটা পরীক্ষা না করায় থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘থ্যালাসেমিয়ার জন্য সামাজিক ঐক্য গড়ি, রোগীর অগ্রাধিকার নিশ্চিত করি’। প্রতিবছর ছয় থেকে সাত হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম নিচ্ছে দাবি করেন মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের রোগীর পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭২৫ জন। ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৯৮ জন, ২০২০ সালে ৩ হাজার ৪১৬ জন, ২০২১ সালে ৪ হাজার ৯৪১ জন, ২০২২ সালে ৬ হাজার ৫৫ জন, ২০২৩ সালে ছিল ৭ হাজার ২২ জন এবং ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫১১ জন থ্যালাসেমিয়া রোগী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। ২০১৪-১৫ সালে ছিল ৭ থেকে ৮ শতাংশ। বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, দেশে ৬০ থেকে ৭০ হাজার থ্যালাসেমিয়া রোগী রয়েছে। একজন রোগীর মাসে কমপক্ষে ১৩ হাজার টাকা খরচ হয়। রক্তরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ। মানবকোষে রক্ত তৈরি করার জন্য দুটি জিন থাকে। কোনো ব্যক্তির রক্ত তৈরির একটি জিনে ত্রুটি থাকলে তাকে থ্যালাসেমিয়ার বাহক বলে। আর দুটি জিনেই ত্রুটি থাকলে তাকে থ্যালাসেমিয়া রোগী বলে। তবে সব বাহকই রোগী হন না। শিশু জন্মের এক থেকে দুই বছরের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া রোগ ধরা পড়ে। এই রোগের লক্ষণগুলো হলো- ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা, ঘন ঘন রোগসংক্রমণ, শিশুর ওজন না বাড়া, জন্ডিস, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি। থ্যালাসেমিয়া রোগীকে সারা জীবন অন্যের রক্ত নিতে হয়। এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে দুই বাহকের বিয়ে বন্ধ করতে পারলে দুরারোগ্য এ ব্যাধিকে ঠেকানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দা মাসুমা রহমান বলেন, সরকারি হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা নেই বললেই চলে। তাই এই চিন্তা থেকেই থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ২০০২ সাল থেকে রোগীদের ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই রোগ সস্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’ থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। দেশে ১০-১১ শতাংশ থ্যালাসেমিয়া বাহক। এর ১ শতাংশ যদি রোগী হয় তার জন্য ২ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা চিকিৎসা খরচ হবে। জনসচেতনতার মাধ্যমে এ ব্যয়কে আমরা কমিয়ে আনতে পারি।’
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৫ জুলাই)
- খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
- চুয়াডাঙ্গায় ট্যাংকলরি চাপায় ইজিবাইক চালকসহ নিহত ৩
- ভারতের আধিপত্য রুখতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে : আব্দুস সালাম
- হাতিরঝিলে ম্যারাথনে দৌড়ালেন দেশি-বিদেশি ৮০০ প্রতিযোগী
- পুঁজিবাজারের মাঠ খেলার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত: বিএসইসি কমিশনার
- দেড় কোটি প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিতে ৫ দাবি
- চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব
- ‘জুলাই শহিদদের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ প্রদানের বিষয়ে কাজ করছে সরকার’
- ফজরকে আদালতে নেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, শুরু হয়নি চারজনের রিমান্ড
- মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের
- হাজারীখিল অভয়ারণ্যে ৩৩ অজগর অবমুক্ত
- টাকা মেরে খাওয়ার জন্য আমরা ক্ষমতায় বসিনি: ধর্ম উপদেষ্টা
- ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল
- ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ইশতেহার ঘোষণা করবে এনসিপি
- খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ
- রাজশাহীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
- ঝড়ের শঙ্কায় চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
- একক কনসার্ট নিয়ে আসছেন বাপ্পা মজুমদার
- সোনারগাঁয়ে পৌর বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও সদস্য ফরম বিতরণ
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ
বিপদ ডেকে আনছে থ্যালাসেমিয়া
সাত বছরে বেড়েছে তিন গুণের বেশি
জয়শ্রী ভাদুড়ী
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর