অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সন্দ্বীপের প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সন্দ্বীপে ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ায় এখন থেকে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবাই নিরাপত্তার সঙ্গে সাগর পারাপার হতে পারবে।
তিনি বলেন, সন্দ্বীপকে নৌবন্দর ঘোষণা, কুমিরা ও গুপ্তছড়া ঘাট উন্মুক্ত, ঢাকা-কুমিরা বাস চালু, ফেরিঘাট এলাকায় সড়ক নির্মাণ এবং নৌপথ নিয়মিত ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা প্রত্যেককে নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
গতকাল সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাটে এই ফেরি চলাচল উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষে সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপে যেতে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লাগছে। জোয়ার-ভাটা হিসাব করে প্রতিদিন যাওয়া-আসা মিলিয়ে চারবার ফেরি চলাচল করবে। ফেরিতে ছোট-বড় ৩৫টির মতো যানবাহন পরিবহন করা যাবে। ফেরির ‘কপোতাক্ষ’ মাস্টার সামশুল আলম বলেন, ফেরিতে ৬০০ মানুষ উঠতে পারবে। চলাচলের জন্য সাধারণ যাত্রী ১০০ টাকা, মোটরসাইকেল ২০০ টাকা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ৫০০ টাকা, ব্যক্তিগত গাড়ি ৯০০ টাকা, বাস ৩ হাজার ৩০০ টাকা, ট্রাক ৩ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ১০ চাকার গাড়িন জন্য ৭ হাজার ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।