ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও জুলাই গণ অভ্যুত্থানের শহীদদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। জুলাইয়ের চেতনার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক অবস্থানে গিয়ে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ‘কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ, ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে’ ছাত্র অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ছাত্র কোটায় উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়ে বলা হয় উনারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি। অথচ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল সব ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীকে নিয়ে সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম। পরবর্তীতে দেখলাম সেখান থেকে সব ছাত্র সংগঠনের পদধারী নেতা-কর্মীদের বের করে দেওয়া হয়, চালু করা হয় সমন্বয়ক কোটা। এরপর আরেকটি কোটা চালু করা হয় সেটি হলো বিভিন্ন সংস্কার কমিশনে ছাত্র প্রতিনিধি কোটা। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের ব্যানারে কোনো প্রোগ্রাম কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, ছাত্ররাজনীতি করা যাবে না। যারা এ কাজগুলো করেছে তারাই এখন নতুন ছাত্র সংগঠনের নেতা। আমরা এখন দেখছি সমন্বয়ক কোটায় কীভাবে বড় বড় জায়গায় চলে যাওয়া যায়।
এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে ৩টি দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। দাবিগুলো হলো- বৈষম্যমূলক কোটা অনতিবিলম্বে বাতিল করা; ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা; শহীদ পরিবারকে ১ কোটি টাকা এবং আহত পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য ৫০ লাখ টাকা এককালীন প্রদান করা।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহ্বায়ক ছানাউল্লাহ হক বলেন, কোটাকে কবর দেওয়ার মাধ্যমে এ সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য আবার কোটা ব্যবস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসছে। কোটা নিয়ে খেলতে গিয়ে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা চাই না আপনারা একই খেলা খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হন।