পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, পিটিআইপ্রধান ইমরান খানের দলের ১০৮ নেতা-কর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। ২০২৩ সালের মে-তে ইমরান খানের গ্রেপ্তার ঘিরে সামরিক বাহিনীবিরোধী সহিংস বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে এ সাজা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘোষিত রায়ে বিরোধীদলীয় নেতা, পিটিআই-সমর্থিত ওমর আইয়ুব খানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ছয় পিটিআই সংসদ সদস্যকে তাঁদের আসন থেকেও অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনাকে পাকিস্তানের বিচার ইতিহাসে লজ্জা ও দুঃখজনক নজির বলে উল্লেখ করেছে পিটিআই। দলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংসদের উভয় কক্ষের বিরোধীদলীয় নেতাদের শুধু ইমরান খানের রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি আনুগত্য ও সাংবিধানিক লড়াইয়ে অংশগ্রহণের দায়েই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।-বিবিসি
পিটিআই জানিয়েছে, তারা আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে। ইমরান খানের মিডিয়া উপদেষ্টা জুলফি বুকারির মন্তব্য অনুযায়ী, এ রায় পাকিস্তানের জন্য গণতন্ত্রের একটি কালো দিন। তিনি বলেন, একজনের পর একজন বিরোধী নেতাকে দি ত করার প্রবণতা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য শুভসংকেত নয়। এটি দেশের ভঙ্গুর গণতন্ত্র আরও দুর্বল করবে। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাবন্দি ইমরান খানের বিরুদ্ধে এখনো ১৫০টির বেশি মামলা চলছে, যার মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ। ২০২৩ সালের ৯ মে ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সমর্থকরা বিভিন্ন সরকারি ভবন ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালান। প্রাণ হারান অন্তত ১০ জন। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে পিটিআইয়ের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে সর্বাধিক আসনে জয়লাভ করলেও সরকার গঠনের সুযোগ পাননি। বিবিসি