খুলনার রূপসা উপজেলায় রয়েছে এক নামে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একটি ‘রূপসা কলেজ’, অন্যটি ‘রূপসা সরকারি কলেজ’। দুই কলেজের নাম প্রায় একই হওয়ায় ভর্তির ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ বছর প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীর রূপসা কলেজে ভর্তির ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভুলক্রমে আবেদন করেছেন রূপসা সরকারি কলেজে। অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমেও বিভ্রান্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ডাকযোগে আসা এক কলেজের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি চিঠিপত্র ভুলক্রমে চলে যাচ্ছে অন্য কলেজে। গতকাল রূপসা কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভ্রান্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, ১৯৮৬ সালে রূপসা নদীর পুবপাড়ে ‘রূপসা কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ প্রায় চার দশক ধরে শিক্ষা, জ্ঞানচর্চায় প্রতিষ্ঠান অবদান রাখছে। একইভাবে ১৯৭২ সালে রূপসা উপজেলার অন্যপ্রান্তে ভৈরব নদের তীরে ‘বঙ্গবন্ধু কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি সরকারের সিদ্ধান্তে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে ‘রূপসা সরকারি কলেজ’ করা হয়। এর ফলে স্থানীয়ভাবে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রূপসা কলেজে ভালো ফলের জন্য অনার্স কোর্সে প্রতি বছর প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করলেও এ বছর আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ২৫ জনের। ফলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষাকার্যক্রম মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তারা এ বিভ্রান্তি দূর করতে সদ্য নামকৃত ‘রূপসা সরকারি কলেজ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘সরকারি ভৈরব কলেজ’ (যেহেতু কলেজটি ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত) অথবা ‘সরকারি বেলফুলিয়া কলেজ’ (স্থানীয়ভাবে এ নামে পরিচিত) রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়।