ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদরেজা আরেফ জানিয়েছেন, শত্রুদের যেকোনো নতুন ‘অপতৎপরতার’ জবাব দিতে তার দেশের সামরিক বাহিনী সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।
মহানবী (স.)-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরেফ বলেন, ১২ দিনের যুদ্ধে দেশের সেনারা যে দক্ষতা ও সক্ষমতা দেখিয়েছিল, তা জনগণ নিশ্চয়ই দেখেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিটি বিভাগকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিরীক্ষা করার পর শত্রুদের যেকোনো নতুন ‘অপতৎপরতার’ জবাব দিতে নিজেদের প্রস্তুত করেছে।
আরেফ বলেন, আমাদের অবশ্যই সমাজের শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে জনগণের কোনো ধরনের দুশ্চিন্তা না থাকে।
গত ১৩ জুন, ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে উস্কানিহীন আগ্রাসন শুরু করে। ফলে ১২ দিনের যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ইরানের সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিকসহ কমপক্ষে ১০৬৪ জন নিহত হয়।
আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রও এই যুদ্ধে যোগ দেয় এবং তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়। এর জবাবে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে কৌশলগত স্থান এবং পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
২৪ জুন, ইরান ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের বিরুদ্ধে সফল প্রতিশোধমূলক অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ করতে সক্ষম হয়।
সূত্র: মেহের নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল