ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাতভর রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় এক কিশোরীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিৎসকো এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি একে ভয়াবহ ও ব্যাপক হামলা বলে আখ্যা দেন।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো জানান, নিহত কিশোরীর বয়স ১৪ বছর। হামলায় অন্তত পাঁচ শিশু আহত হয়েছে। তিনি আরও জানান, ২০টিরও বেশি জেলা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়, যার ফলে একাধিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে, এমনকি একটি কিন্ডারগার্টেনও আগুনে পুড়ে যায়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন। দার্নিৎসকি জেলায় একটি পাঁচতলা ভবন ধসে পড়ে এবং পাশের দ্নিপ্রো জেলায় একটি উঁচু আবাসিক ভবনে আগুন ধরে যায়।
হামলার আগের দিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রুশ ড্রোন হামলায় দেশের এক লাখেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের সাড়ে তিন বছর পার হলেও যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেনি। এরই মধ্যে নতুন করে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এ মাসের শুরুতে আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এবং ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
ট্রাম্প পুতিন-জেলেনস্কি সরাসরি শীর্ষ বৈঠকের জন্য চাপ দিচ্ছেন। জেলেনস্কি শর্তসাপেক্ষে এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে তিনি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চেয়েছেন যাতে ভবিষ্যতে নতুন কোনো রুশ হামলার ঝুঁকি না থাকে।
এদিকে, ব্রিটেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল স্যার টনি রাডাকিনের সঙ্গে মঙ্গলবার কিয়েভে বৈঠক করেন জেলেনস্কি। সেখানে যুদ্ধের অবসানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হয়।
মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, তিনি এই সপ্তাহে নিউইয়র্কে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাঁর ভাষায়, “আমরা প্রতিদিন রাশিয়ানদের সঙ্গে কথা বলছি।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল