উত্তর কোরিয়া সীমান্তে স্থাপন করা লাউড স্পিকার সরিয়ে নিতে শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। কিম জং উন সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য এত দিন এসব লাউড স্পিকার ব্যবহৃত হতো।
শনিবার সিউলের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী আজ সকালে খেয়াল করেছে, সীমান্তের কিছু অংশে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা মাইক সরিয়ে নিয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পুরো এলাকা থেকে ডিভাইসগুলো সরানো হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমাদের সামরিক বাহিনী এ ধরনের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করবে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, দুই দেশই ইতোমধ্যে সীমান্তের শূন্যরেখায় উচ্চস্বরে মাইক বাজানো থামিয়েছে।
পিয়ংইয়ং থেকে আবর্জনা ভর্তি বেলুন পাঠানোর প্রতিক্রিয়ায় সিউল গত বছর লাউডস্পিকারে গান ও সংবাদ শোনানো শুরু করেছিল। পরে উত্তর কোরিয়াও সীমান্তে মাইক বাজানোর পথে হাঁটে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত জুনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে লি জে মিয়ং দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সীমান্তে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রচার চালানো সম্প্রচার বন্ধ করে দেন। তার নেতৃত্বাধীন উদারপন্থি সরকার পিয়ংইয়ং-এর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই প্রচারযন্ত্রগুলো অপসারণ একটি ‘বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ’, যা যুদ্ধবিভক্ত দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করেছে, এটি দক্ষিণের সামরিক প্রস্তুতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম