ইশরাকের শপথ আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন ফারুক।
ক্ষোভ প্রকাশ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘হাসিনার বিচারের প্রতি আমাদের যেমন আস্থা ছিল না, তেমনি এখনও ভরসা পাচ্ছি না। দেখলাম হামিদ নাটক, নাটক দেখলাম আইভির, আরেক নাটক দেখলাম ফারিয়ার নাটক। হচ্ছেটা কি দেশে? বাংলাদেশের জনগণের মূল দাবি গুলো অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা কি এসব?’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘তাহলে গ্রেফতার করারই বা কি দরকার ছিল, আর জামিন দেবারও কি দরকার ছিল?’
প্রধান উপদেষ্টার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, নয় মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিচালনায় বিচার বিভাগের উপর মানুষের আস্থা হাসিনা আমলের চেয়েও বেশি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বিচারকদের রায় প্রভাবিত হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ইশরাক হোসেনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘বিচারক রায় দিয়েছেন কার ইঙ্গিতে, কার বলে, কার পরামর্শে? আজকে জনগণ রাস্তায়, এই পরামর্শটা আপনি না নিলেই পারতেন।’
সাবেক এই চিফ হুইপ প্রধান উপদেষ্টার প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আপনার হাতে ক্ষমতা আল্লাহ দিয়েছে, জনগণ পাশে আছে। তাহলে কিসের এত ভয়? আপনার তো ভয় পাওয়ার কথা না। কারণ সবাই আপনার সঙ্গে, শুধু আওয়ামী লীগ ছাড়া। তাহলে কেন ইশরাক শপথ নিতে পারলেন না? ইশরাকের সমর্থকরা কেন সিটি কর্পোরেশন তালা দিলেন? ইশরাক কেন আজকে মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ অভিমুখে মিছিল করছেন? আপনারা যদি কারো কান কথা শুনে ইশরাকের শপথ গ্রহণকে বন্ধ করে থাকেন, তাহলে এটি খুব ঘৃণিত কাজ করেছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে নির্বাচন কমিশন ঠিক একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যার কোনো সমালোচনা ইতোমধ্যে হয়নি, ঠিক তখনই তাকে (নির্বাচন কমিশন) নিয়ে কেন, কি কারণে এবং কার ইঙ্গিতে কমিশনের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় তলে তলে আপনারা তাদের কথা শুনে ইশরাকের শপথ করান নাই এবং হামিদের মতো লোককে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এবং বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করে দেশের মানুষের ভোটের অধিকারের পথ থেকে বঞ্চিত করার পরিকল্পনা হচ্ছে।’
সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আ. ক. ম মোজাম্মেল হক, তাঁতীদলের নেতা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদল নেতা আব্দুল্লাহ আল নাইম, মৎসজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত