সমস্যাগ্রস্ত শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিগগিরই ব্যাংকগুলো টেক অফ করা হবে। সম্ভাব্য নাম ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’। নতুন এ ব্যাংকের জন্য লাইসেন্সও ইস্যু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ’ অনুযায়ী পরিচালিত এ মার্জার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে লাগবে দুই বছর। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত শেষে এসব জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আরিফ হোসেন খান। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে সভায় বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মুখপাত্র বলেন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক একীভূত করে একটি নতুন রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক গঠন করা হবে। তিনি বলেন, মার্জার একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এটি সম্পন্ন হতে প্রায় দুই বছর লাগবে। তবে কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে, খুব শিগগিরই এটি দৃশ্যমান হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি প্রশাসক টিম গঠন করা হবে। তবে প্রতিটি ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে বর্তমান ব্যবস্থাপনা টিম। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও) তাঁদের পদে বহাল থাকবেন। তিনি আরও জানান, ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হবে না, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বে। প্রশাসক টিম নিয়মিত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত টিমকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেবে।
জানা গেছে, এ পাঁচ ব্যাংকের ৪৮ থেকে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ এখন খেলাপি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন হবে ৩৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারই দিচ্ছে ২০ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
এসব ব্যাংকের মধ্যে চারটি ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এক্সিম ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে ছিল নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের।