পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে খুলনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ছাত্র ও স্থানীয় জনতা। গতকাল সন্ধ্যায় খুলনা প্রেস ক্লাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলমকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে দুপুর থেকে মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয় ঘিরে বিক্ষোভকারীরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছেন এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেওয়াসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে পুলিশ কমিশনার দায়ী। তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এদিকে গতকাল রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রেস সচিব আন্দোলনরত ছাত্রদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে ছাত্রনেতারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকে অবরুদ্ধ করিনি। কয়েক দিন ধরে ধারাবাহিক আন্দোলনে খুলনার জেলা প্রশাসনসহ কোনো মহল আমাদের সঙ্গে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেনি। এ কারণে আমরা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের কাছে আমাদের দাবি জানাতে এসেছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করছেন বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’ ছাত্রনেতারা আগামী ২৪ ঘণ্টা বিষয়টি দেখবেন। তারা বলেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কমিশনারকে অপসারণ করা না হলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর ও আটটি থানা ঘেরাও কর্মসূচিসহ খুলনা অচল কর্মসূচি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িত এসআই সুকান্তকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে ছাত্র-জনতা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে পুলিশ কমিশনারকে অপসারণ না করলে শনিবার দুপুর থেকে খুলনা অচল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
