দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মাইলা নদীর দেউলী ঘাটে ৩০ বছর ধরে সেতু না হওয়ায় আশেপাশের ৭ গ্রামের মানুষ জীবন বাজি রেখে ভাঙাচোরা বাঁশ-কাঠের সাঁকো ব্যবহার করে চলাচল করছেন। বর্ষা মৌসুমে সাঁকোর ঝুঁকি বেড়ে যায়, শিশু, শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও রোগীদের যাতায়াত চরম দুর্ভোগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে চলে।
স্থানীয়রা জানান, দেউলী ঘাটে নদীর ওপারের ৭টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া, চিকিৎসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন। বর্ষা মৌসুমে কৃষককে পণ্য নিয়ে প্রায় ৫ কি.মি. ঘুরে যেতে হয়, কারণ সাঁকো ভেঙে বা ডুবে যায়।
খাইরুল গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব বয়োবৃদ্ধ তারাপদ সরকার বলেন, “যৌবনকালেই সেতু পাইনি, এখন আশাই ছাড়ছি। কত এমপি, মন্ত্রী, চেয়ারম্যান, মেম্বর এলেও অবস্থা একই রকম।”
শ্যামপুর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ শচীন, শাহারুল, বিষ্ণু জানান, “সরকারের পক্ষ থেকে এক সপ্তাহ মাপ নেওয়া হয়েছে, তারপর কেউ আসে নাই। আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। বন্যার সময় সাঁকো ভেসে যায়।”
এলাকার শিক্ষার্থী নাসরিন আক্তার বলেন, “বর্ষায় সাঁকো দিয়ে স্কুলে যাওয়া ভীষণ ভয় লাগে, অনেক সময় পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।”
সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাত হোসেন জানান, “বিগত সরকারের আমলে এমপি ও উপজেলা পরিষদ থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কাজ হয়নি। বর্তমানে নিজ উদ্যোগে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের মাধ্যমে পুনরায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সুসংবাদ পাবো।
বিডি প্রতিদিন/আশিক