কর্মদিবসে সড়ক দখল করে কর্মসূচি পালন না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। এ ধরনের কর্মসূচি ঢাকা শহরের সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য দুর্ভোগ নিয়ে আসে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে দক্ষতা বাড়াতে ডিএমপি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি) দুই দিনের এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। এতে ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের ৬০ পুলিশ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা শহরের সড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষায় কর্মরত ঢাকার পুলিশ কর্মকর্তারা রোড ক্র্যাশের ঘটনা তদন্তে (ইনভেস্টিগেশনে) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কলাকৌশল দেশীয় প্রেক্ষাপটে কাজে লাগানোসহ বৈশ্বিক সড়ক নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন এ কর্মশালা থেকে।
অনুষ্ঠানে শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, ‘সড়কে যানবাহনের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে অফিস খোলার দিনগুলোতে সড়কে রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহারের অনুরোধ করেছি। কারণ এ ধরনের কর্মসূচি ঢাকা শহরের সব সড়ক ব্যবহারকারীর জন্য দুর্ভোগ নিয়ে আসে।’ ‘আর এগুলো করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে পুলিশ পর্যাপ্ত সময় দিতে পারে না। কিন্তু বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে রোড ক্র্যাশের তদন্ত করে এর কারণ সঠিকভাবে চিহ্নিত করা গেলে তা ভবিষ্যতে সড়কে মৃত্যু কমিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে’, যোগ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটির (বিআইজিআরএস) ইনিশিয়েটিভ কো-অর্ডিনেটর ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ।
অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সুপারিন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মাহবুব আলম। উপস্থিত ছিলেন জিআরএপির এশিয়া-প্যাসিফিক ম্যানেজার ব্র্যাট হারম্যান ও সিনিয়র রোড পুলিশিং অ্যাডভাইজর পিটার জোনস, এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর গোলাম হোসেন, ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেটর রেজাউর রহমান, সার্ভিলেন্স কো-অর্ডিনেটর ডা. তানভীর ইবনে আলী, ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর আমিনুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।