যখন মোবাইল ফোন ছিল না, তখন যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠির আদান-প্রদান। একসময় এরকম চিঠি চালাচালি করতেন বলিউড অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। স্বামী অমিতাভ বচ্চনকে পারিবারিক খবরাখবর জানাতেই টিফিন বক্সের সঙ্গে পাঠাতেন হাতে লেখা বিভিন্ন চিরকুট।
বিগ বি তখন কাজ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। পরিবারের খোঁজ নেওয়াটা তেমন হয়ে উঠছিল না। সে সময় স্ত্রী জয়া বচ্চন নিলেন এক অভিনব উদ্যোগ। তিনি প্রতিদিন অমিতাভের টিফিন বক্সে খাবারের সঙ্গে ছোট ছোট চিঠি বা নোট পাঠাতেন। এই নোটগুলোতে কখনো লেখা থাকত স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও আবেগমাখা বার্তা ‘তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এসো।’ আবার কখনো তাতে থাকত গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক খবর ‘অভিষেকের শরীর ভালো না,’ অথবা ‘অমিতাভ ও জয়াকে স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে।’
এই ছোট ছোট চিঠিগুলোই সে সময় অমিতাভ বচ্চনের কাছে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার এক বিশেষ মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও এই নোটগুলো তাকে জয়া বচ্চন এবং তার পরিবারের সঙ্গে এক গভীর বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে সাহায্য করেছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল বলিউড সিনেমা ‘দ্য লাঞ্চবক্স’। ইরফান খান ও নিমরত কৌর অভিনীত ছবিটিতে এরকম চিঠি চালাচালির গল্প দেখানো হয়েছিল। যেখানে ভুলবশত পাঠানো লাঞ্চবক্সের মাধ্যমে একজন বিবাহিত গৃহবধূ ইলা এবং একজন বয়স্ক বিধবা মানুষ সাজানের মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা লাঞ্চবক্সের মধ্যে চিঠি আদান-প্রদান করে একে অপরের জীবনে একটি কল্পনার জগৎ তৈরি করে, যা তাদের নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্ব দূর করতে সাহায্য করে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি