কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হচ্ছে ইসবগুলের ভুসি। পেটের নানা সমস্যায় এর কার্যকারিতা স্বীকৃত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য নয় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ভেষজ উপাদান।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
টাইপ–২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইসবগুলের শরবতকে ‘খুবই উপকারী’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে থাকা ‘জিলাটিন’ নামক উপাদান রক্তে গ্লুকোজ শোষণের গতি কমিয়ে দেয়। ফলে খাবারের পর রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে।
এ ছাড়া ইসবগুলের ফাইবার ইনসুলিনের ক্ষরণ ও ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে কার্যকর
ইসবগুল দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া দ্রুত সেরে উঠতে পারে। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে, আর ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে। চিকিৎসকেরা বলেন, দিনে দুইবার দই ও ইসবগুলের ভুসি খেলে ডায়রিয়া ও আমাশয় থেকে উপকার পাওয়া যায়।
কোলেস্টেরল কমায়
ইসবগুল অন্ত্রে একধরনের স্তর তৈরি করে, যা খারাপ কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়। ফলস্বরূপ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে আসে। হৃদরোগীদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত।
অন্ত্রের স্বাস্থ্যে সহায়ক
শরীরের জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে ইসবগুল। এটি অন্ত্র পরিষ্কার রাখে, বিপাকক্রিয়া বাড়ায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।
কীভাবে খাবেন
বিভিন্ন স্বাস্থ্যজার্নালের তথ্য অনুযায়ী, দিনে ৫–১০ গ্রাম বা ১–২ চা চামচ ইসবগুল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে নিয়মিত গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক নিয়মে গ্রহণ করলে ইসবগুল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে কোলেস্টেরল ও অন্ত্রের সুস্থতায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা