বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও এজ গ্রুপ কমিটির চেয়ারম্যান শিল্পী আসিফ আকবর বলেছেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার বাইরে গিয়ে প্রতিটি জেলায় আলাদাভাবে ‘জেলা ক্রিকেট সংস্থা’ গড়ে তোলা হবে। এতে করে জেলার ক্রিকেট কার্যক্রম আরও পরিকল্পিত ও গতিশীল হবে।
বুধবর বিকালে পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আসিফ আকবর বলেন, প্রতিটি জেলায় খুব শিগগিরই ক্রিকেট লিগ শুরু হবে। ক্রীড়া অধিদপ্তরের মাধ্যমে যে টেন্ডারে সরঞ্জাম কেনা হয়, সেগুলো খেলায় ব্যবহারযোগ্য নয়—এখানে আমরা পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নিয়েছি।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরও ক্রিকেট কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ভারতে জাতীয় দলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উঠে আসার ইতিহাস আছে। আমরাও চাই—প্রতিটি শিশুকে মূলধারার খেলাধুলায় আনা হোক।
স্কুল-স্তরের ক্রিকেট উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এত দিন হলেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়নি। নতুন আঙ্গিকে আমরা এটি সাজিয়েছি। প্রথমবারের মতো স্কুল ক্রিকেটারদের ডেটাবেস তৈরি করা হবে।
দেশের তরুণদের সামাজিক বাস্তবতা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে প্রায় ২৩ লাখ তরুণ মাদকের সঙ্গে জড়িত, দেড় কোটি মানুষ বিদেশে থাকায় পরিবারগুলো ভোগান্তিতে আছে এবং প্রায় ৫ কোটি মানুষ নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন করছে। এ পরিস্থিতিতে ক্লাস–ফোর থেকেই বাচ্চাদের ক্রিকেটে যুক্ত করার লক্ষ্য বিসিবির।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো মূল্যে আমরা চাই, বাংলাদেশের ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে অন্তত আট মাস সক্রিয় থাকুক। মেয়েদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকবে—তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব সুবিধা ‘ব্ল্যাংক চেক’।
মতবিনিময় সভায় বিসিবির পরিচালক হাসানুজ্জামান, মেম্বার সেক্রেটারি আরমানুল ইসলাম ও আম্পায়ার সাকির বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার মেম্বার সেক্রেটারি আবুল হাসেম। স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক, ক্রিকেটার ও আম্পায়াররাও এ সময় বক্তব্য দেন।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন