বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ও পরিচালক ভদ্রা বসু আর নেই। ওপার বাংলার মঞ্চ ও বড় পর্দা—দুই মাধ্যমেই দাপুটে অভিনয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করা এই গুণী শিল্পী কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল প্রায় ৬৫ বছর। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।
কিছুদিন ধরেই গুরুতর শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন ভদ্রা বসু। প্রথমে তার গলব্লাডারে স্টোন ধরা পড়ে। তবে অতিরিক্ত রক্তচাপ এবং হৃদযন্ত্রের জটিলতার কারণে চিকিৎসকেরা তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচার করতে পারেননি। ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা চালানোর পরও পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে।
এর মধ্যেই ঘরে পড়ে গিয়ে তিনি মস্তিষ্কে আঘাত পান। দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়। পরে তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে তার মস্তিষ্কে জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পরই তার কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।
ভদ্রা বসু ছিলেন প্রখ্যাত নাট্য নির্দেশক ও অভিনেতা অসিত বসুর সহধর্মিণী। মঞ্চে এবং ক্যামেরার সামনে তিনি ছিলেন একজন শক্তিশালী ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সম্প্রতি তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ এবং অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়ের ‘বেলা’ চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/আশিক