বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় শিশুতোষ গান বেবি শার্ক নিয়ে প্রায় এক দশক ধরে চলা কপিরাইট মামলা শেষ হলো। দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়েছে, এই গানের কোরিয়ান সংস্করণ তৈরি করা প্রতিষ্ঠান পিংকফং কারও সৃষ্টিকর্ম নকল করেনি।
পিংকফং-এর তৈরি বেবি শার্ক গান—যার মূল আকর্ষণ ‘ডু ডু ডু ডু ডু ডু’ অংশটি—ইউটিউবে এখন পর্যন্ত ১৬ বিলিয়নের বেশি বার দেখা হয়েছে। গানটির জনপ্রিয়তা থেকে টিভি অনুষ্ঠান, সিনেমা ও স্মার্টফোন অ্যাপও তৈরি হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটিকে কোটি কোটি টাকা আয় করিয়েছে।
তবে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিশুতোষ গায়ক জনাথন রাইট (স্টেজ নাম জনি অনলি) অভিযোগ করেন, পিংকফং তার গান নকল করেছে। রাইট তার সংস্করণে শিশুদের সঙ্গে হাত দিয়ে হাঙরের মুখের ভঙ্গি করে গান গেয়েছিলেন এবং এটি ইউটিউবে আপলোড করেছিলেন। তিনি ৩ কোটি ওন (প্রায় ২১ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার) ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন।
আদালত রায়ে জানায়, রাইটের সংস্করণকে মৌলিক বা সৃজনশীল কাজ হিসেবে ধরা যাবে না, কারণ বেবি শার্ক বহু বছর ধরে শিশুদের লোকগান হিসেবে প্রচলিত এবং রাইট এতে উল্লেখযোগ্য নতুনত্ব যোগ করেননি। আদালতের ভাষায়—‘বাদীর গান দ্বিতীয় কপিরাইটযোগ্য কাজ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার মতো সৃজনশীলতার স্তরে পৌঁছায়নি।’
প্রমাণ পাওয়া গেছে, গানটি বহু আগে থেকেই বিভিন্ন দেশে গাওয়া হচ্ছিল। এমনকি ২০১০ সালে জার্মানিতে ক্লাইনার হাই নামে একটি সংস্করণ ভাইরাল হয়েছিল।
চূড়ান্ত রায়ে বলা হয়, রাইটের গানকে মূল লোকগানের একটি পরিবর্তিত রূপ হিসেবে ধরা হলেও, পিংকফং-এর সংস্করণের সঙ্গে এর কোনো উল্লেখযোগ্য সাদৃশ্য পাওয়া যায়নি।
এর মধ্য দিয়ে শেষ হলো দীর্ঘ প্রায় দশ বছরের আইনি লড়াই। বেবি শার্ক ডান্স এখনো বিশ্বের শিশুদের প্রিয় বিনোদনের অন্যতম উৎস।
সূত্র: এএফপি
বিডি প্রতিদিন/আশিক