ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ (কাশিয়ানী-মুকসুদপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরেই দেশ ও জাতির প্রকৃত মুক্তি হয়েছিল। সেই দিনই আমরা আমাদের স্বাধীনতার মুক্তি, কথা বলার স্বাধীনতার মুক্তি ফিরে পেয়েছিলাম।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়ন মহিলা দল ও ছাত্রদল আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় সেলিমুজ্জামান আরও বলেন, একাত্তরের বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, কিন্তু তখন জাতির পূর্ণ মুক্তি হয়নি। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের প্রকৃত মুক্তি এসেছিল। এই বিপ্লবই জাতিকে আবার সেই কাঙ্ক্ষিত পথে ফিরিয়ে আনার সুযোগ সৃষ্টি করেছিল, যে বাংলাদেশ আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে স্বপ্ন দেখেছিলাম- যেখানে প্রতিটি মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচবে, নিজের অধিকার ভোগ করবে এবং নিজের সরকার গঠনে অংশ নিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু নেতৃত্বই দেননি, তিনি বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। দেশের মানুষকে আবারও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে, আপনাদের ভাই হিসেবে থাকতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, যদি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান, তাহলে অবশ্যই আপনারা ধানের শীষে ভোট দেবেন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করবেন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাবরিনা বিনতে আহমেদ, কাশিয়ানী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তফা মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. সেলিম, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সহসম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক, দপ্তর সম্পাদক নুর এ. বোরহান লিটন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল খান।
এছাড়াও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল হক শিমুল, সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম পাভেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনিচুর রহমান লিমন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফোরকান শরীফ টিটো, সদস্য সচিব মো. মিলন খান, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি শেখ শিলা, সাধারণ সম্পাদক ফারজানা পপি, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিরুল ইসলাম সোহেলসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ