বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা–২ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন পেছাতে দুই দিন পর পর নতুন নতুন দাবি তুলছে। কিছুদিন আগে তারা বলেছিল পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হবে না। এখন আবার বলছে গণভোট ছাড়া নির্বাচন হবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি বিজয়ী হবে।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার পালিয়েছে। বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, দেশ নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে। কিন্তু এখনো দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক ভোটাধিকারের অধিকার ফিরে পায়নি। আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ সেই অধিকার প্রয়োগ করবে এবং দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি দেশকে আবারও অন্ধকারে ফেরানোর পাঁয়তারা করছে। তবে জনগণ আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন মেনে নেবে না।
অমানউল্লাহ আরও বলেন, জিয়া পরিবার গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও জনগণের অধিকার রক্ষার প্রতীক। দেশের যখনই ক্রান্তিকাল এসেছে, তখনই জিয়া পরিবারের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষ মুক্তির পথ পেয়েছে। এই পরিবারের সঙ্গে দেশের মানুষ ছিল, আছে, থাকবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন, আমরা সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনব।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ দিনেই জনগণ ও সৈনিকরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। ৭ নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি, স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত