চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে শয্যা আছে ২ হাজার ২০০টি। নিয়মিত ভর্তি থাকেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোগী। বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে দৈনিক রোগী দেখা হয় প্রায় ৫ হাজার। কিন্তু চট্টগ্রাম বিভাগের বৃহত্তম এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে হৃদ্রোগ শনাক্তের অন্যতম উপকরণ ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিন আছে মাত্র একটি। ‘সপে ধন নীল মনি’র মতো এই একটি মেশিনের ওপরই সবাইকে নির্ভর করতে হয়।
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বিভিন্ন হৃদ্রোগ নির্ণয়, হৃৎপিণ্ডের গঠন, ভালভের কার্যকারিতা, রক্ত প্রবাহ, সামগ্রিক পাম্প করার ক্ষমতা মূল্যায়ন করতে ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয়। চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই এই একটি ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিন দিয়েই চলছে হাসপাতালটি। বর্তমানে দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী এখানে পরীক্ষা করাতে পারেন। প্রতিদিন অনেক রোগীকে ফেরত যেতে হয়।
চমেক হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. কাজী শামীম আল মামুন বলেন, হৃদ্রোগ ও সব বিভাগের জন্য ইকোকার্ডিগ্রাফি মেশিন আছে একটি। অন্য কোনো ওয়ার্ডের রোগীর হৃদ্রোগ পরীক্ষার দরকার হলে এখানেই আসতে হয়। ফলে এখানে রোগীর চাপও বেশি। প্রতিদিন দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রোগীদের।