গত জুলাই-আগস্টের গণ আন্দোলনে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নিকট প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় কূটনৈতিক টানাপোড়েনে নানা চাপান-উতোর চলছেই। অথচ দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদীর্ঘকালের এবং তা আকারে-প্রকারে কলেবরে সুবিশাল। একের পর এক বিভিন্ন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ভারত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বাংলাদেশও কিছু পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে দুই দেশকেই রপ্তানি হ্রাসের মুখে পড়তে হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত বিপুলসংখ্যক উদ্যোক্তা, উৎপাদক, পরিবহন এবং বিপণনসংশ্লিষ্ট মানুষকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুগতে হচ্ছে। ভারত বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে রপ্তানির জন্য ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করায় সমস্যা আরও গভীর হয়েছে। সমুদ্রপথে এসব পণ্য রপ্তানিতে দুই-তিন গুণ ব্যয় বহন করতে হবে। সময়ও লাগবে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের জায়গায় অন্তত ১৫ থেকে ৩০ দিন। এতে কিছু কৃষি ও খাদ্যপণ্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও থাকছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চোরাচালান বৃদ্ধির। ভারতের সঙ্গে আমাদের চার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি সুদীর্ঘ সীমান্ত। সবটা সুরক্ষিত তেমন দাবি করা যুক্তিযুক্ত হবে না। এই সুযোগে চোরাচালান প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে অর্থ উপদেষ্টাকে পাঠানো গোপন প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের মতে, বৈধ পথে রপ্তানির সময় ও খরচ বাড়লে সীমান্ত চোরাচালান ও অবৈধ বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে অবহিত করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-কে টহল ও নজরদারি জোরদার করতে বলা হয়েছে। স্থলসীমান্তপথে আমদানি-রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবনে কর্মচ্যুতির দুর্ভোগ-দুর্দশা ডেকে এনেছে। অর্থনৈতিকভাবেও দুই দেশের গায়ে ক্ষতির আঁচ লাগাচ্ছে না-বললে তা অসত্য ভাষণ হবে। এ ক্ষেত্রে চাই চৌকশ কূটনৈতিক পদক্ষেপে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ। বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের বছরপূর্তি হবে আগামী ৫ আগস্ট। ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের বরফ এখন গলা উচিত বলে মনে করেন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। নইলে বৈধ বাণিজ্যের পথ একসময় রুদ্ধ করে দেবে অবৈধ চোরাচালান।
শিরোনাম
- বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
- আফতাবনগরে দেয়াল ধসে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
- কক্সবাজার সীমান্তে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
- যাত্রাবাড়ীতে গ্রীল কেটে প্রবেশ করে বৃদ্ধকে হত্যা
- ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
- টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
- হেরে যাওয়ার সেই ধারা ভাঙতে পারলেন জোকোভিচ
- ক্লাব বিশ্বকাপে চমক দেখিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার
- ১৪ বছর পর নতুন করে ফিরছে আজম খানের 'উচ্চারণ'
- টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
- গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৮ জুলাই)
- বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
- ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
- দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কৃষকদলের সদস্য সচিব বহিষ্কার
- জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের নামে নামকৃত চত্বর ও সড়ক উদ্বোধন
- ঝিনাইদহে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
- ‘জুলাই শহিদদের প্রেরণা অনুসরণ করলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব’
- জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৮৬ শতাংশ
- পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত না মেনে পদোন্নতি প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে এফডিসিতে বিক্ষোভ
চোরাচালান বৃদ্ধির শঙ্কা
বৈধ বাণিজ্যের পথ খুলুন
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বীরভূমের বাংলাভাষী পরিবার এখন বাংলাদেশে
২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম