বরিশাল জেলার কোনো ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রে গত পাঁচ মাস ধরে নেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ কোনো ওষুধ। যার কারণে অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণের সংখ্যা বাড়ছে। পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলায় ৪৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি, ইনজেকশন, কনডম ও ইমপ্ল্যান্ট সেবা। গত জানুয়ারি মাসের পর থেকে এসব সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এসব বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কেন্দ্রে কর্মরতরা বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দরিদ্র মানুষেরা এসব কেন্দ্র থেকে জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি ও কনডম নেয়। তারা এসব কিনে ব্যবহার করতে চায় না। তারা ফ্রিতে পেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ করেছে। এ নিয়ে অনেকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। অনেকের দুটি সন্তান আছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তারা তৃতীয়বার অস্ত্রোপচার করে সন্তান জন্ম দেওয়ার ঝুঁকি নিতে চান না। অনেকের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণের কারণে তারা এখন কী করবেন সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। এ বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের বরিশালের উপপরিচালক মেহবুব মোর্শেদ বলেন, এ সমস্যা শুধু বরিশালে নয়, সারা দেশেই রয়েছে। সমস্যা সমাধান হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যে সরবরাহ পেয়ে যাব।