শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আসন্ন!

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আসন্ন!

অনুমান করা কঠিন নয় যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর এক নোংরা যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে, ইরান প্রতিরক্ষাহীন। যদিও গত বুধবার কেবিনেট বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্থির করবেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে সরাসরি জড়িত হবে কি না। কিন্তু তাঁর প্রতিদিনের কথাবার্তা থেকে স্পষ্ট যে তিনি যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধে জড়িত হওয়ার ঘোষণা দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন নস্যাৎ করা যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাহানা মাত্র। ইরান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শুরু থেকেই বলে আসছে তাদের পারমাণবিক প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ বেসামরিক। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পোষ্য ইসরায়েল তা মানতে রাজি নয়। সবার মনে থাকার কথা আড়াই দশক আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র’ তৈরির অভিযোগ এনে ‘বিশ্ব শান্তির প্রতি হুমকি’ দূর করার অজুহাতে জাতিসংঘের মাধ্যমে সামরিক কোয়ালিশন গঠন করে ২০০৩ সালে ইরাকের ওপর হামলা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ দেশটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল। কিন্তু ইরাকে তথাকথিত ‘ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র’ উৎপাদনের কোনো প্রমাণই খুঁজে পাওয়া যায়নি, অথচ যুদ্ধে প্রায় ৫ লাখ নিরীহ বেসামরিক ইরাকি নিহত হয় এবং ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অধিক সম্পদহানি ঘটে।

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ দশম দিবসে প্রবেশ করেছে। দৃশ্যত ২০২৪ সালে নির্বাচনি প্রচারাভিযান চলাকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার ‘চিরন্তন যুদ্ধ’ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাসের কম সময়ের মধ্যে তিনি ইরানের সঙ্গে চিরন্তন যুদ্ধ শুরু করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। তার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। শুধু ট্রাম্প নন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বজায় রাখার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের কথা ও কাজের মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। বহিঃশত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত হতে হলে কংগ্রেসের আগাম অনুমোদন গ্রহণের যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনো তা গ্রহণ করেননি। ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে জাতিসংঘের সমর্থন বা মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে কোয়ালিশন গঠনেরও উদ্যোগ গ্রহণ করেননি, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র তার আগের ‘চিরন্তন যুদ্ধে’ লিপ্ত হতে ‘ওয়ার পাওয়ারস অ্যাক্ট’ স্থগিত করেননি। তা অনুমান করা কঠিন নয় যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর এক নোংরা যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে যাচ্ছেসত্ত্বেও আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও যুদ্ধবিষয়ক পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের ধারণা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শিগগিরই আমেরিকান যুদ্ধবিমানগুলোকে নির্দেশ দেবেন ইরানের ওপর বোমাবর্ষণ করতে এবং তা যে কোনো দিন, যে কোনো মুহূর্তে হতে পারে। কারণ ইতোমধ্যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিমানবাহী রণতরিকে ইরানের দক্ষিণ উপকূলে আরব সাগরে মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন। রণতরি ও যুদ্ধবিমানগুলো মোতায়েন করার মূল উদ্দেশ্য ভারত মহাসাগরের ডিয়েগো গর্সিয়া দ্বীপে আমেরিকান বিমানঘাঁটি থেকে তাদের বি-২ কৌশলগত বোমারু বিমান উড্ডয়নের নিরাপদ করিডর সৃষ্টি করা, যাতে বিমানগুলো ভূপৃষ্ঠের গভীরে ইরানের তিনটি বা আরও অধিকসংখ্যক সন্দেহজনক স্থানে বোমাবর্ষণ করে সেগুলোকে ধ্বংস বা নিষ্ক্রিয় করতে পারে। ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে আসছিল যে ইরান ওই সব ভূগর্ভস্থ স্থাপনাকে বোমা তৈরির জন্য পারমাণবিক উপকরণ ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের কথিত ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করে তাহলে তা পুরোপুরি তুচ্ছ কারণে অন্যায়ভাবে হামলা করা হবে। বিশ্বাসযোগ্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের নেতৃত্ব ও দেশ দুটির একশ্রেণির মিডিয়া দীর্ঘদিন থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছে যে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং কোনো অবস্থাতেই ইরানকে পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হতে দেওয়া হবে না। এর বিপরীতে মাত্র তিন মাস আগে গত মার্চে পারমাণবিক বিষয়ে বিশ্বের কেন্দ্রীয় আন্তঃসরকার ফোরাম জাতিসংঘের স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএএফএ) পরিদর্শকরা বলেছেন যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে যাচ্ছে এমন কোনো প্রমাণ তারা পাননি। আমেরিকার ১৭টি গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান ইউএস ডাইরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ডাইরেক্টর তুলসি গ্যাবার্ডও একই মাসে কংগ্রেসকে জানিয়েছেন যে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কোনো প্রমাণ নেই। কিন্তু ট্রাম্পের বক্তব্য হচ্ছে, ‘তিনি (তুলসি গ্যাবার্ড) কী বলেছেন, আমি তা পরোয়া করি না। আমি বলছি, তারা একটি অস্ত্র (পারমাণবিক) তৈরির ওপর কাজ করছে। আমি তার কথা শুনি না।’

তাহলে কার কথা শোনেন ট্রাম্প? আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পরিবর্তে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’-এর কথা শোনেন? ১২ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কেবল স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়নি, পরমাণুবিজ্ঞানী ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের জেনারেলসহ ১৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ইরান এ ঘটনার জবাব দিয়েছে ইসরায়েলের কয়েকটি শহরের সামরিক ও কৌশলগত স্থাপনা এবং হাইফা বন্দরের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে। এরপর থেকে উভয় দেশের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র বিনিময় অব্যাহত রয়েছে। উভয় পক্ষে সাধারণ মানুষ হতাহত হচ্ছে, স্থাপনা ধ্বংস হচ্ছে। একে অপরের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণের দাবি করলেও বাস্তবে কেউ কারও আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়নি। যেহেতু কৃতিত্ব দাবির প্রচারণাযুদ্ধ কৌশলের একটি অংশ, অতএব এ ধরনের একের ওপর অন্যের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার দাবির মধ্যে অযৌক্তিক কিছু নেই। তবে এ পরিস্থিতির মধ্যে  প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির জীবনের ওপর হুমকি দিয়ে ইরানকে পাল্টা হুমকি দেওয়ার উসকানি দিয়েছেন। ইরান পারস্য উপসাগরে আমেরিকান রণতরি এবং ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আমেরিকান ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলার হুমকি দিয়েছে।

ইরান-ইসরায়েল চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত হওয়ার অর্থ পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলকে দীর্ঘস্থায়ী এক যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলা, যে যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হবে স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে গণবিরোধী শুল্কনীতি, ইমিগ্রেশন নীতি বাস্তবায়নে নিষ্ঠুরতা এবং রাজনৈতিক সহিংসতা বিস্তারের কারণে অভ্যন্তরীণ চাপের মধ্যে রয়েছে। ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করার নামে গাজা ধ্বংস ও ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধ করতে আমেরিকা কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। এখন ইরায়েলের আগ্রাসি ভূমিকার সমর্থনে ইরানের ওপর সরাসরি হামলা নিজ দেশে ধূমায়িত ক্ষোভ বিস্ফোরণে রূপ নিতে পারে। ইরান তো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর যুদ্ধে লিপ্ত নয় অথবা ইরানের তেমন কোনো পরিকল্পনাও নেই, সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সাড়ে চার দশক ধরে চলে আসা তিক্ততা প্রশমনের চেষ্টার পরিবর্তে কী কারণে ইরানের সঙ্গে তিক্ততাকে স্থায়ী রূপ দেবে, তা আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের বোধগম্য নয়।

তাদের মতে, ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার যুক্তি থাকত যদি তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ইরানের কোনো হামলা প্রতিহত করার কারণে হতো; মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সামরিক ঘাঁটিতে অথবা পশ্চিম এশিয়ায় নিয়োজিত ৪০ হাজার আমেরিকান সৈন্যের ওপর ইরানের প্রকৃত বা অনিবার্য হামলা প্রতিহত করার কারণে হতো; অথবা আমেরিকান যুদ্ধজাহাজ বা কোনো বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার কারণে হতো। চলমান যুদ্ধে ট্রাম্পের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা হুমকি দেওয়া ছাড়া ইরান আমেরিকাকে এখন পর্যন্ত কোনো উসকানি দেয়নি। এ কথা সত্য যে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের তেমন কোনো মিত্র নেই। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি ইসরায়েলকে ইরানের ওপর হামলা চালানোর ইশারা দিয়ে একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রকে তথাকথিত ‘বিশ্বশান্তি’ রক্ষার মুরুব্বিয়ানা ফলাতে স্বয়ং ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত করছেন? তা না হলে গাজায় দেড় বছর ধরে যুদ্ধ চালানোর পর ইরানের মতো একটি বৃহৎ আঞ্চলিক শক্তির ওপর হঠাৎ করে যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া কোনো যৌক্তিক সমরকৌশলের মধ্যে পড়ে না। বিশেষ করে যখন ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল।

ইসরায়েলের আচমকা হামলার কয়েক দিন আগেই ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে এমন ইঙ্গিত দিয়ে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে সম্মত হয়েছিল যে ইরানের কাছে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র নেই এবং ভবিষ্যতেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না। যুক্তরাষ্ট্র তখন নতুন নতুন শর্ত আরোপ করতে শুরু করে এবং আমেরিকান ও ইসরায়েলি ইন্সপেক্টরদের কাছে তাদের সামরিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের দাবি তোলে। ইরানকে তার বিভাজনযোগ্য ইউরেনিয়ামের মজুত অর্পণ করতে বলে। ইরানের বেসামরিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পরিচালনার জন্য যা প্রয়োজন, তা ছাড়া তার অতিরিক্ত উপকরণ প্রত্যর্পণে সম্মত হয়েছিল। আলোচনার আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির মধ্যে ১৫ জুন যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানি প্রতিনিধিদলের পুনরায় মিলিত হওয়ার কথা, তার আগেই ১২ জুন মধ্যরাতে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলা চালিয়ে সব হিসাবনিকাশ পাল্টে দেয়। ট্রাম্প বলেছেন, এ হামলার কথা তিনি জানতেন। এটাই সত্য। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া ইসরায়েল এ ধরনের পদক্ষেপ নিতেই পারে না। এটাই যদি বাস্তবতা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে অর্থহীনভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল কেন? যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে ব্যবহার করেছে মাত্র।  

এখন ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর প্রস্তুতি ও ট্রাম্প প্রশাসনের হম্বিতম্বিতে যুক্তরাষ্ট্রের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। ইরানের ওপর আমেরিকান বি-২ বোমারু বিমান থেকে ভূগর্ভ বিদীর্ণকারী বোমা নিক্ষেপ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ পরিস্থিতিতে দুটি বৃহৎ ও শক্তিশালী দেশ চীন ও রাশিয়া ইরানের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইসরায়েল ও ইরানের প্রতি দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা একই সঙ্গে বলেছেন যে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি যদি অস্থিতিশীল হয় তাহলে তৃতীয় বিশ্বে শান্তি বিঘ্নিত হবে। অবশ্য তাঁরা এ কথা বলেননি যে যুদ্ধ প্রলম্বিত হলে তাদের দেশের স্বার্থের জন্যও ক্ষতিকর হবে। প্রকৃত যুদ্ধ শুরু হলে স্পষ্ট হয়ে উঠবে, এ দুটি দেশ যুদ্ধে কী ভূমিকা পালন করতে আগ্রহী।

ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপে চীনের অর্থনৈতিক স্বার্থ বিপুলভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হবে। ইরান বিশ্বের তৃতীয় প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ এবং ইরানের উৎপাদিত অপরিশোধিত তেলের ৯০ শতাংশই চীন আমদানি করে। এ ছাড়া চীনের মোট তেল চাহিদার ৪০ শতাংশই আমদানি করা হয় ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। অন্যদিকে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সাবেক পারস্য সাম্রাজ্যের সঙ্গে রাশিয়ার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বৈরিতা বিরাজ করলেও তাদের মধ্যে শত শত বছর ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও বিদ্যমান ছিল। রাশিয়া কোনোভাবে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করবে না। চীন ও রাশিয়ার বাইরে এ যুদ্ধে ইরানের পক্ষে সমর্থন ঘোষণা করেছে উত্তর কোরিয়া, তুরস্ক ও পাকিস্তান। তবে এখন পর্যন্ত কেউ প্রয়োজনে ইরানকে সামরিক সহায়তা দেবে বলে ঘোষণা করেনি। অতএব এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি বিশ্লেষণে যা মনে হচ্ছে তাতে ইরানকে নিজ শক্তির ওপর ভর করেই ইসরায়েল এবং আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।

সম্ভবত এরই প্রস্তুতি হিসেবে এবং আমেরিকার দ্রুত যুদ্ধে জড়ানোর সম্ভাব্যতার কারণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তাঁর উল্লেখযোগ্য কর্তৃত্ব ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরসহ ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিলের ওপর ন্যস্ত করেছেন। কৌশলগত এ পরিবর্তনের ফলে সামরিক বিষয়ে বড় ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য, এমনকি তা যদি ইরানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কথিত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রশ্ন আসে সে ক্ষেত্রেও সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ নেতার ওপর সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। তা ছাড়া আলী খামেনির জীবনের ওপর ৩০ বছর ধরে চলে আসা অব্যাহত হুমকি যদি বাস্তবে রূপ নেয় অর্থাৎ তিনি নিহত হলেও দেশের প্রশাসনিক ও সামরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে না। ফলে দৃশ্যত চরম পরিস্থিতিতেও ইরানে ক্ষমতার শূন্যতা বা ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

 

যুদ্ধকালীন এ সতর্কতার সঙ্গে ইরানকে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে বিপ্লবোত্তর সরকারগুলোর প্রতিপক্ষ অভ্যন্তরীণ নাশকতা সৃষ্টিকারী অপশক্তিগুলো সম্পর্কে যাদের গোয়েন্দা তথ্যে সমৃদ্ধ হয়ে শত্রু দেশ, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের স্পর্শকাতর স্থাপনা এবং শীর্ষস্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের সঠিক অবস্থানে আক্রমণ চালিয়ে ধ্বংস ও হত্যা করতে সক্ষম হয়। ইরানি নেতারা বাগাড়ম্বর করতে কম করেননি, যার মূল্য এখন তাঁদের দিতে হচ্ছে। সবকিছুর মধ্যে সমগ্র বিশ্ব ইরানের দিকে তাকিয়ে আছে গভীর আগ্রহ নিয়ে। বিশ্ব জনমত বিপুলভাবে ইরানের পক্ষে। তারা ইরানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া নোংরা যুদ্ধের অবসান প্রত্যাশা করে।

                লেখক : যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক

এই বিভাগের আরও খবর
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
রাজা মানসিংহ
রাজা মানসিংহ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
কাঠগড়ায় মাফ চাওয়ার ভঙ্গিতে দাঁড়ানো
কাঠগড়ায় মাফ চাওয়ার ভঙ্গিতে দাঁড়ানো
বাবা এবং ভালোবাসা
বাবা এবং ভালোবাসা
মানবিক শিক্ষায় জাপানি আদর্শ অনুসরণীয়
মানবিক শিক্ষায় জাপানি আদর্শ অনুসরণীয়
নির্বাচন হোক সংশয়মুক্ত
নির্বাচন হোক সংশয়মুক্ত
সাদাপাথর লুটকাণ্ড
সাদাপাথর লুটকাণ্ড
নিরাপত্তার অধিকার সবার
নিরাপত্তার অধিকার সবার
অর্থনীতির সম্ভাবনা ও সংকট
অর্থনীতির সম্ভাবনা ও সংকট
শান্তির পথ দেখায় রসুল (সা.)-এর সুন্নত
শান্তির পথ দেখায় রসুল (সা.)-এর সুন্নত
সর্বশেষ খবর
খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সাথে সনাকের মতবিনিময়
খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সাথে সনাকের মতবিনিময়

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

হাসিনার আমলের গুম-খুন মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২৬ অক্টোবর
হাসিনার আমলের গুম-খুন মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২৬ অক্টোবর

৪৫ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

বাবর-রিজওয়ান বাদ, পিসিবি চেয়ারম্যান জানালেন ব্যাখ্যা
বাবর-রিজওয়ান বাদ, পিসিবি চেয়ারম্যান জানালেন ব্যাখ্যা

৫৩ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনের আরও ভূমি দখল রাশিয়ার, শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান
ইউক্রেনের আরও ভূমি দখল রাশিয়ার, শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যের কক্ষের সামনে দুই দাবিতে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি
জবি উপাচার্যের কক্ষের সামনে দুই দাবিতে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি

৩ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সাত দিনের মধ্যে প্রাথমিকে আসছে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সাত দিনের মধ্যে প্রাথমিকে আসছে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

১১ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা সই
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা সই

১১ মিনিট আগে | জাতীয়

শিশুসন্তান জেদি হলে সামলাবেন যেভাবে
শিশুসন্তান জেদি হলে সামলাবেন যেভাবে

১১ মিনিট আগে | জীবন ধারা

ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করার পর রুশ পারমাণবিক প্লান্টে আগুন
ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করার পর রুশ পারমাণবিক প্লান্টে আগুন

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বললেন পূজারা
সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় বললেন পূজারা

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মৃত নই, বেঁচে আছি—প্রমাণে থানায় বলিউডের রাজা মুরাদ
মৃত নই, বেঁচে আছি—প্রমাণে থানায় বলিউডের রাজা মুরাদ

২১ মিনিট আগে | শোবিজ

শরীরের ক্লান্তি দূর করতে জীবনযাপনে দরকার পরিবর্তন
শরীরের ক্লান্তি দূর করতে জীবনযাপনে দরকার পরিবর্তন

২৫ মিনিট আগে | জীবন ধারা

ট্রাইব্যুনালে সাবেক আইজিপি মামুন, সাবেক মন্ত্রী ফরহাদ ও জিয়াউল আহসান
ট্রাইব্যুনালে সাবেক আইজিপি মামুন, সাবেক মন্ত্রী ফরহাদ ও জিয়াউল আহসান

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

‘অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম, এখন জীবন উপভোগ করছি’
‘অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম, এখন জীবন উপভোগ করছি’

৪৮ মিনিট আগে | শোবিজ

চীনে নির্মাণাধীন বিএসসির জাহাজ পরিদর্শন করলেন নৌ-উপদেষ্টা
চীনে নির্মাণাধীন বিএসসির জাহাজ পরিদর্শন করলেন নৌ-উপদেষ্টা

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

বলিউডে কাস্টিং কাউচ: অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন যেসব তারকা
বলিউডে কাস্টিং কাউচ: অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন যেসব তারকা

৫১ মিনিট আগে | শোবিজ

পাবনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নিহত
পাবনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নিহত

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্মৃতি বিজড়িত সেই ক্যাপটি দান করলেন সুনীল গাভাস্কার
স্মৃতি বিজড়িত সেই ক্যাপটি দান করলেন সুনীল গাভাস্কার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নবীনগরে কৃষকদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নবীনগরে কৃষকদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জরুরি সভা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জরুরি সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মরদেহ নিয়ে মায়ের মহাসড়ক অবরোধ : সেই ছেলে জীবিত উদ্ধার
মরদেহ নিয়ে মায়ের মহাসড়ক অবরোধ : সেই ছেলে জীবিত উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যে ১৫ কৌশলে গুগল ট্রেন্ডস থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিবেন
যে ১৫ কৌশলে গুগল ট্রেন্ডস থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিবেন

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চমক রেখে এশিয়া কাপের দল ঘোষণা আফগানিস্তানের
চমক রেখে এশিয়া কাপের দল ঘোষণা আফগানিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগামী নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে একটি নতুন দল : হেলেন
আগামী নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে একটি নতুন দল : হেলেন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কাটাখালী নদীর ভাঙনে বিলীন মাতুভূঞার পাকা সড়ক
কাটাখালী নদীর ভাঙনে বিলীন মাতুভূঞার পাকা সড়ক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতে অফিস খুলছে ওপেনএআই
ভারতে অফিস খুলছে ওপেনএআই

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যমুনা সেতুতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-দুধবাহী গাড়ির সংঘর্ষে দেড় ঘণ্টা যানজট
যমুনা সেতুতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-দুধবাহী গাড়ির সংঘর্ষে দেড় ঘণ্টা যানজট

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নাটোরে খেলনা পিস্তল ঠেকিয়ে যুবককে অপহরণের চেষ্টা, আটক ২
নাটোরে খেলনা পিস্তল ঠেকিয়ে যুবককে অপহরণের চেষ্টা, আটক ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আটক, দাবি রিপোর্টে
ভারতে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আটক, দাবি রিপোর্টে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেসরকারি মিরপুর কলেজে শিক্ষা ক্যাডার অধ্যক্ষ নিয়োগ দিল সরকার
বেসরকারি মিরপুর কলেজে শিক্ষা ক্যাডার অধ্যক্ষ নিয়োগ দিল সরকার

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কয়েকটি দেশে রয়েছে ইরানের অস্ত্র কারখানা, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ
কয়েকটি দেশে রয়েছে ইরানের অস্ত্র কারখানা, চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমাকেও বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হতে পারে : অমর্ত্য সেন
আমাকেও বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হতে পারে : অমর্ত্য সেন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিয়ে বন্ধু হয়ে উঠতে পারবে ‌‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ভারত-চীন?
যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিয়ে বন্ধু হয়ে উঠতে পারবে ‌‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ভারত-চীন?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে বাধা দিচ্ছে পেন্টাগন
মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে বাধা দিচ্ছে পেন্টাগন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদিকে হুঁশিয়ারি অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের
মোদিকে হুঁশিয়ারি অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা নিয়ে মেলানিয়া ট্রাম্পকে চিঠি লিখলেন এরদোয়ানের স্ত্রী
গাজা নিয়ে মেলানিয়া ট্রাম্পকে চিঠি লিখলেন এরদোয়ানের স্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারোয়ার তুষারের শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার করল এনসিপি
সারোয়ার তুষারের শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার করল এনসিপি

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘গোল্ডেন ভিসা’ চালু করছে ওমান
‘গোল্ডেন ভিসা’ চালু করছে ওমান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যারা পিআর চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন : সালাহউদ্দিন
যারা পিআর চায় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন : সালাহউদ্দিন

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হোয়াটসঅ্যাপে ‘বিয়ের দাওয়াত’ ফাঁদে দুই লাখ রুপি হারালেন সরকারি কর্মকর্তা
হোয়াটসঅ্যাপে ‘বিয়ের দাওয়াত’ ফাঁদে দুই লাখ রুপি হারালেন সরকারি কর্মকর্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ডিজিটাল ভূমি সেবায় জনভোগান্তি
ডিজিটাল ভূমি সেবায় জনভোগান্তি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, গণঅধিকার পরিষদের নেতাসহ আহত ১৫
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, গণঅধিকার পরিষদের নেতাসহ আহত ১৫

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু
একাদশে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন শুরু

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারীকাণ্ডে চাকরি গেল সাবেক সমন্বয়কের
নারীকাণ্ডে চাকরি গেল সাবেক সমন্বয়কের

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ড. ইউনূসের কারণে বিশেষ সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ : প্রেসসচিব
ড. ইউনূসের কারণে বিশেষ সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ : প্রেসসচিব

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারতে নতুন রাষ্ট্রদূত ট্রাম্পের
শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারতে নতুন রাষ্ট্রদূত ট্রাম্পের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মরদেহ নিয়ে মায়ের মহাসড়ক অবরোধ : সেই ছেলে জীবিত উদ্ধার
মরদেহ নিয়ে মায়ের মহাসড়ক অবরোধ : সেই ছেলে জীবিত উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ঈদে মিলাদুন্নবীর তারিখ নির্ধারণে চাঁদ দেখা কমিটির সভা কাল
ঈদে মিলাদুন্নবীর তারিখ নির্ধারণে চাঁদ দেখা কমিটির সভা কাল

২১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

১৩ বছর পর ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৩ বছর পর ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বুড়িগঙ্গায় নারী-শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গায় নারী-শিশুসহ চারজনের লাশ উদ্ধার

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মায়ের মৃত্যু সংবাদে স্ট্রোক করে প্রাণ হারাল ছেলে
মায়ের মৃত্যু সংবাদে স্ট্রোক করে প্রাণ হারাল ছেলে

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিয়াইনে টাস্কফোর্সের দফায় দফায় অভিযান, ডুবানো হলো ২ নৌকা
পিয়াইনে টাস্কফোর্সের দফায় দফায় অভিযান, ডুবানো হলো ২ নৌকা

১৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আবদুস সালামকে দেখতে হাসপাতালে ডা. রফিক
আবদুস সালামকে দেখতে হাসপাতালে ডা. রফিক

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রিমান্ডের পর হাসপাতালে ভর্তি লঙ্কান সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে
রিমান্ডের পর হাসপাতালে ভর্তি লঙ্কান সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে : টুকু
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা এখন মুক্তিযুদ্ধকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস পাচ্ছে : টুকু

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যে কারণে খাবেন আদা চা
যে কারণে খাবেন আদা চা

১৫ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পান্থপথ থেকে ঝিনাইদহ যুবলীগ নেতা জন ও শাকিল গ্রেপ্তার
পান্থপথ থেকে ঝিনাইদহ যুবলীগ নেতা জন ও শাকিল গ্রেপ্তার

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকায় জনদুর্ভোগ এড়াতে সমাবেশের জন্য ৯১ স্থান প্রস্তাব ডিএমপির
ঢাকায় জনদুর্ভোগ এড়াতে সমাবেশের জন্য ৯১ স্থান প্রস্তাব ডিএমপির

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
কেন এলেন না ইতালির প্রধানমন্ত্রী
কেন এলেন না ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

অনড় অবস্থানে দলগুলো
অনড় অবস্থানে দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

একাত্তর ইস্যু সমাধানে প্রস্তুত পাকিস্তান
একাত্তর ইস্যু সমাধানে প্রস্তুত পাকিস্তান

প্রথম পৃষ্ঠা

হাত বাড়ালেই মিলছে লুটের পাথর
হাত বাড়ালেই মিলছে লুটের পাথর

পেছনের পৃষ্ঠা

জয়ের জটিল সমীকরণ
জয়ের জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সংবিধানের বাইরে পিআর ভোটের সুযোগ নেই
সংবিধানের বাইরে পিআর ভোটের সুযোগ নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

সীমাহীন বর্বরতা
সীমাহীন বর্বরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিন বাহিনীতে ব্রি. জেনারেল বাংলাদেশি
মার্কিন বাহিনীতে ব্রি. জেনারেল বাংলাদেশি

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাকেও বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হতে পারে
আমাকেও বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

দাপট পিটিয়ে মারা চক্রের
দাপট পিটিয়ে মারা চক্রের

পেছনের পৃষ্ঠা

বন্ধ্যত্ব কাটাতে চায় বিএনপি জামায়াতও মরিয়া
বন্ধ্যত্ব কাটাতে চায় বিএনপি জামায়াতও মরিয়া

নগর জীবন

রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের
রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের

প্রথম পৃষ্ঠা

দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না
দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

জয়া কেন মেজাজ হারান
জয়া কেন মেজাজ হারান

শোবিজ

নির্বাচন হোক সংশয়মুক্ত
নির্বাচন হোক সংশয়মুক্ত

সম্পাদকীয়

ইসরায়েলকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে জনমত
ইসরায়েলকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে জনমত

পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্ত সম্মেলনে সাত ইস্যু
সীমান্ত সম্মেলনে সাত ইস্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের ভিত্তিতেই নির্বাচন দিতে হবে
জুলাই সনদের ভিত্তিতেই নির্বাচন দিতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্দেশের অপেক্ষায় বিএনপি প্রচারণায় জামায়াত
নির্দেশের অপেক্ষায় বিএনপি প্রচারণায় জামায়াত

নগর জীবন

কোনো ষড়যন্ত্রই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না
কোনো ষড়যন্ত্রই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

হকিতে অস্থিরতা বাড়ছে
হকিতে অস্থিরতা বাড়ছে

মাঠে ময়দানে

দুর্ভিক্ষে দুর্বিষহ জীবন গাজায়
দুর্ভিক্ষে দুর্বিষহ জীবন গাজায়

প্রথম পৃষ্ঠা

যারা পিআর চায় তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে : সালাহউদ্দিন
যারা পিআর চায় তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে : সালাহউদ্দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

মা-মেয়ে অপহরণ, মালামাল লুট
মা-মেয়ে অপহরণ, মালামাল লুট

দেশগ্রাম

জনগণের আকাঙ্ক্ষা না বুঝলে ভবিষ্যৎ নেই
জনগণের আকাঙ্ক্ষা না বুঝলে ভবিষ্যৎ নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

পাল্টে যাচ্ছে কর্ণফুলীর তীর
পাল্টে যাচ্ছে কর্ণফুলীর তীর

পেছনের পৃষ্ঠা

মিসরে সমুদ্রতলে প্রাচীন শহরের খোঁজ
মিসরে সমুদ্রতলে প্রাচীন শহরের খোঁজ

পূর্ব-পশ্চিম

সড়ক অবরোধ করে তেজগাঁওয়ে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিক্ষোভ
সড়ক অবরোধ করে তেজগাঁওয়ে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে

রকমারি