চকচকে বলিউডের আড়ালে লুকিয়ে আছে বহু অন্ধকার দিক। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো কাস্টিং কাউচ—কাজের সুযোগের বিনিময়ে অনৈতিক প্রস্তাব। বছরের পর বছর ধরে বহু অভিনেতা ও অভিনেত্রী এমন প্রস্তাবের শিকার হয়েছেন। অনেকে চুপ থাকলেও সময়ের সাথে সাথে অনেক তারকা প্রকাশ্যে এনেছেন নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা।
কঙ্গনা রানাওয়াত জানান, ১৭ বছর বয়সে ক্যারিয়ার শুরু করলেও তিনি কখনো এমন প্রস্তাবে রাজি হননি।
রাধিকা আপ্তে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রাতযাপনের শর্তে সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি।
সুরভিন চাওলা দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে সরাসরি প্রযোজকের কুপ্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
কাল্কি কোয়েচলিনও একাধিকবার আপস করতে বলা হলেও প্রত্যাখ্যান করেন।
আয়ুষ্মান খুরানা জানিয়েছেন, শুধু নারীরাই নয়, পুরুষরাও এর শিকার। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাকেও যৌন সুবিধার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
সানি লিওনি ক্যারিয়ারের শুরুতে প্রযোজকের অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
রণবীর সিং বলেছেন, কাস্টিং কাউচের অস্তিত্ব রয়েছে এবং সংগ্রামের দিনে তিনি নিজেও এর মুখোমুখি হয়েছেন।
ঊষা যাদব জানান, সরাসরি শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর শর্ত দেওয়া হয়েছিল তাকে।
সাইয়ামি খের এক নারী প্রযোজকের কাছ থেকে অনৈতিক ফোনকল পান, যা তিনি সোজাসাপ্টা প্রত্যাখ্যান করেন।
মমতা কুলকার্নি অভিযোগ তুলেছিলেন, নির্মাতা রাজকুমার সন্তোষি তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন ‘চাইনা গেট’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়।
বলিউডের এই কালো অধ্যায়ের কথা আজও নানা তারকা খোলাখুলি জানিয়ে যাচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ করেছেন, কেউবা নীরব থেকেছেন; কিন্তু বাস্তবতা হলো—এমন ঘটনা ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন নয়।
বিডি প্রতিদিন/আশিক